অবৈধভাবে দখলে রাখা জায়গা উদ্ধার চালাবে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রেলওয়ের উন্নয়নের জন্য যেসব জায়গা দরকার হবে, সেগুলো ছেড়ে দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারিও দেয়া হয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ থেকে।

অব্যবহৃত ভূমিকে লাভজনক করতে পর্যায়ক্রমে সকল জমিকে ব্যবস্থাপনায় নিয়ে আসার প্রকৃয়া চলছে বলে জানানো হয়েছে। একই সাথে বেদখল হওয়া ভূমি উদ্ধার ও রেলের বাসা থেকে বহিরাগতদের বের করে রেল প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবার কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল।

রেলওয়ের ভূমি দীর্ঘদিন ধরেই দখল করে যাচ্ছে প্রভাবশালীদের একটি মহল। রেলওয়ের ভূ-সম্পত্তি বিভাগের উচ্ছেদ অভিযানেও বিরাজ করছে স্থবিরতা। সর্বশেষ দুটি উচ্ছেদ অভিযানও পিছিয়ে যায় পুলিশি নিরাপত্তা এবং ম্যাজিস্ট্রেটের অভাবে। তবে এবার কোন ছাড় নয় নিয়মিত অভিযান চলবে বলে জানান এ বিভাগের কর্মকর্তারা।

রেলওয়ের চট্টগ্রাম ভূ-সম্পত্তি বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, আমাদের এ বিভাগে জনবল সংকট রয়েছে। তাই মাঝে মাঝে কিছু ক্ষেত্রে আমাদের কার্যক্রম চালাতে সমস্যা হয়। তবে সামনের অভিযানগুলো নিয়মিতই হবে সব ঠিক থাকলে। তিনি জানান, রেলওয়ের বেদখল হওয়া সব জায়গা উদ্ধার করার ক্ষেত্রে কোন ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই। যত প্রভাবশালী ব্যক্তির দখলে থাক না কেন তা আমরা উদ্ধার করব। এ ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, রেলের জায়গা কেউ দখলে রাখতে পারবে না। এর নিয়মই নেই, বরং অবৈধভাবে দখল করা অপরাধ। তবে সরকারি নিয়ম-নীতি রয়েছে। সে মোতাবেক দরখাস্ত করে কারও প্রয়োজন হলে জায়গা লিজ নিতে পারবে। রেলওয়ে তা বিবেচনা করে পরবর্তী নির্দেশনা দেবে।

রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মাহবুব উল করিম জানান, রেলওয়ের বেদখল হওয়া জায়গা উদ্ধার করতে আমাদের আমাদের নিয়মিত উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম ইতোমধ্যেই চলছে। আমরা যদি সময় মত পুলিশি নিরাপত্তা পাই সে ক্ষেত্রে আমাদের কার্যক্রম বেগবান হয়। উচ্ছেদ অভিযানে আমাদের যেকোন প্রকার অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তার প্রয়োজন হয়। পুলিশি নিরাপত্তা না পেলে অভিযান চালানো সম্ভব হয় না।

তিনি আরও বলেন, আগামী সোমবার রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জাহাঙ্গীর হোসেন স্যারসহ আমাদের একটি মিটিং হবার কথা রয়েছে। মিটিংয়ে আমরা আমাদের কার্যক্রম সম্পর্কে আরও বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। এরপর পরবর্তী পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন এক বক্তব্যে বলেছেন, রেলওয়ের বেদখল হওয়া সব জায়গা উদ্ধার করা হবে। কাউকে রেলের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে রাখতে দেওয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, কারও জায়গা দরকার হলে আমরা তাদের সময় দেবো। আপনারা দরখাস্ত করেন এবং রেলওয়ের সঙ্গে দেনদরবার করেন। নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি দিয়ে জায়গা লিজ নিতে পারেন। কিন্তু অবৈধভাবে ভোগদখল করে খাওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে না। রেলওয়ের উন্নয়নের জন্য যেসব জায়গা দরকার হবে, সেগুলো ছেড়ে দিতে হবে।