আগ্রাবাদে ড্রেনের পড়ে নিখোঁজ কলেজ ছাত্রী সাদিয়ার মরদেহ উদ্ধার

নগর প্রতিবেদক :

চট্টগ্রামে আগ্রাবাদ এলাকায় ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় ড্রেনের পানিতে পড়ে নিখোঁজ কলেজছাত্রী সেহেরীন মাহবুব সাদিয়ার মরদেহের খোঁজ মিলেছে।

প্রায় ৫ ঘণ্টার উদ্ধার অভিযান শেষে রাত ২টা ৫০ দিকে মরদেহের সন্ধান পান ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা।

চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদে ড্রেনে পড়ে নিখোঁজ হওয়া ওই কিশোরী আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ।

সোমবার দিবাগত রাতে নিখোঁজের স্থান থেকে ৩০ গজ দূর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এরআগে রাত সোয়া দশটার দিকে আগ্রাবাদ মাজার গেইট এলাকার ড্রেনে পড়ে যান সাদিয়া।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ডবলমুরিং থানার এসআই অর্ণব বড়ুয়া বলেন, ‘নিখোঁজের স্থান থেকে ৩০ গজ দূরে সাদিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। এরপরও পাশ্ববর্তী ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে মরদেহ ওই ছাত্রীর বাড়ি হালিশহরে নেওয়া হয়েছে।’

পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, রাতে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সেহেরীন মাহবুব সাদিয়া মামার সঙ্গে আগ্রাবাদ শাহজালাল চশমা মার্কেটে চশমা কিনতে এসেছিলেন সাদিয়া। এসময় ফুটপাত ধরে হাটার সময় তিনি পা পিছলে খোলা ড্রেনে পড়ে যান। তাকে উদ্ধারের জন্য সঙ্গে থাকা মামা ড্রেনে ঝাপ দিলেও তিনি ব্যর্থ হয়ে উঠে আসেন৷

আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার মো. কফিল উদ্দিনজানিয়েছেন, খবর পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল, একটি স্পেশাল দলসহ মোট চারটি টিম উদ্ধারে কাজ করে টানা পাঁচ। উদ্ধার কাজে ব্যবহার করা হয় এক্সেবেটরও। 

নিহত সেহেরীন মাহবুব সাদিয়া (১৯) আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি হালিশহর থানার বড়পোল এলাকায় শুক্কুর মেম্বারের বাড়ির প্রবাসী মোহাম্মদ আলীর চার ভাই বোনের মধ্যে সবার বড়।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও আসেন। কিন্তু নালার উপরে আবর্জনার স্তূপ জমে থাকায় এবং তার নিচ দিয়ে পানির স্রোত থাকায় তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।

এর আগে ভারি বৃষ্টিতে বন্দরনগরীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে ২৫ অগাস্ট সকালে মুরাদপুর এলাকায় খালে পড়ে তলিয়ে যান সালেহ আহমদ নামের এক সবজি ব্যবসায়ী।চলতি বছরের ৩০ জুন নগরীর ষোলশহর চশমা হিল এলাকাতেও এমন দুর্ঘটনা ঘটে। সেখানে একটি অটোরিকশা খালে পড়ে গেলে মারা যান চালক সুলতান (৩৫) ও যাত্রী খাদিজা বেগম (৬৫)। কয়েকদিন তল্লাশি চালিয়েও যার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।