বিভ্রাট কাটিয়ে সচল হয়েছে ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম

তথ্য ও প্রযুক্তি ডেস্ক :

সার্ভার বিভ্রাটের কারণে ৯ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর স্বাভাবিক হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম।

সোমবার রাত নয়টার কিছু সময় পর থেকে জনপ্রিয় এই যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বার্তা আদান–প্রদান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েন বিশ্বজুড়ে লাখো ব্যবহাকারী। মঙ্গলবার ভোররাত সাড়ে চারটার দিকে এক টুইটবার্তায় সার্ভার সচল হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ মার্ক জুকারবার্গ।

তিনি লিখেছেন, Facebook, Instagram, WhatsApp and Messenger are coming back online now. Sorry for the disruption today — I know how much you rely on our services to stay connected with the people you care about.

প্রতিদিন দুইশ কোটির বেশি মানুষ ফেইসবুক ব্যবহার করেন। ইন্টারনেট ট্র্যাকার সাইট ডাউন ডিটেক্টর বলছে, ফেইসবুকের ইতিহাসে এত বড় মাত্রায় বিভ্রাট আর কখনও ঘটেনি।

২০১৯ সালেও বড় পরিসরে যান্ত্রিক জটিলতায় পড়েছিল ফেইসবুক। সেবারও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করতে গিয়ে ওই বিভ্রাট হয়েছিল দাবি করে মূল কারণ আর ব্যাখ্যা করেনি এই সোশাল মিডিয়া কোম্পানি।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সার্ভার জটিলতায় এক টুইটবার্তায় ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে ফেসবুক। টেক জায়ান্টটির প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা মাইক শ্রোফার বলেন, ফেসবুকের শতভাগ পরিষেবা পেতে আরও কিছু সময় লাগতে পারে।ফেইসবুক বন্ধ থাকার এই সময়ে ব্যবহারকারীদের তথ্য বেহাত হওয়ার কোনো প্রমাণ মেলেনি বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।

সোমবার রাত থেকেই সার্ভার ডাউন নিয়ে বিভিন্ন দেশের লাখো ব্যবহারকারী ডাউন ডিটেকটরডটকমে অভিযোগ করেছেন। ডাউন ডিটেকটর হচ্ছে একটি অনলাইন সাইট, যারা বিভিন্ন সাইট বা অনলাইন সেবা বিপর্যস্ত হলে তা নিয়ে তথ্য প্রকাশ করে।

ডাউন ডিটেকটর জানায়, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ধরনের সার্ভার ডাউনের ঘটনা এটি। বিশ্বজুড়ে এক কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম নিয়ে অভিযোগ করেছেন।

ফেসবুকের মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী এখন ২৯০ কোটি। অর্থাৎ বিশ্বব্যাপী এই পরিমাণ অ্যাকাউন্ট থেকে মাসে একবার হলেও ফেসবুকে লগইন করা হয়। এই ব্যবহারকারীদের ৪ কোটি ৮০ লাখের বাস বাংলাদেশে। অন্যদিকে, বিশ্বব্যাপী ১২০ কোটি মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করছেন।