শুরু দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা : আজ মহা ষষ্ঠী

চট্টলা ডেস্ক :

শুরু হয়েছে বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। ঢাকের বাদ্যের সঙ্গে উলুধ্বনি, শঙ্খনাদ আর কাসর ঘণ্টা বাজিয়ে ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দূর্গা পূজা।

সোমবার (১১ অক্টোবর) সকাল ৭ টা থেকে ব্যক্তিগত ও সর্বজনীন মণ্ডপে পুরোহিতের মন্ত্রোচ্চারণ ও আবাহনে ষষ্ঠীপূজা সম্পন্ন হয়। সন্ধ্যায় হবে দেবীর বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাস।

হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, দশভূজা দেবী দুর্গা অসুর বধ করে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রতি শরতে কৈলাস ছেড়ে কন্যারূপে মর্ত্যলোকে আসেন। সন্তানদের নিয়ে পক্ষকাল পিতার গৃহে কাটিয়ে আবার ফিরে যান দেবালয়ে। আশ্বিন শুক্লপক্ষের এই ১৫টি দিন দেবীপক্ষ, মর্ত্যলোকে উৎসব।

পঞ্জিকা মতে, মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) শ্রীশ্রী দুর্গাদেবীর নবপত্রিকা প্রবেশ ও স্থাপন, সপ্তমী তিথিতে পূজা হবে। বুধবার (১৩ অক্টোবর) দুর্গাদেবীর মহাষ্টমী পূজা ও রাতে সন্ধি পূজা। বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) দুর্গাদেবীর মহানবমী বিহিত পূজা এবং শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) বিজয়া দশমীর পূজা শেষে দর্পন বিসর্জন।এবার সপ্তমী মঙ্গলবার হওয়ায় হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী দুর্গা এবার আসবেন ঘোড়ায় চড়ে। আর শুক্রবার দশমীতে কৈলাসে দেবালয়ে ফিরবেন দোলায় চেপে।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, ত্রেতাযুগে ভগবান রাম তার স্ত্রী সীতাকে উদ্ধার করতে দেবী দুর্গার অকালবোধন করেন। ব্রহ্মার নির্দেশ অনুযায়ী দুর্গার সাহায্যে রাবণ বধ করে সীতাকে উদ্ধার করেন তিনি।

দেবীর সেই আগমণের সময়ই দুর্গোৎসব।রাম শরৎকালে দেবীকে আহ্বান করেছিলেন বলে এ পূজা শারদীয় দুর্গা পূজা নামেও পরিচিত। আর মর্ত্যলোকে আসতে দেবীর সেই ঘুম ভাঙানোকে বলা বলা হয় অকাল বোধন।

ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরসহ উপজেলার মোট ১ হাজার ৯৬৪টি পূজামণ্ডপ সেজেছে নতুন সাজে। সুদৃশ্য তোরণ ও মণ্ডপে অধিষ্ঠিত হয়েছেন প্রতিমা। দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনে দুর্গতিনাশিনীর আগমনে সনাতনী সম্প্রদায় এখন আনন্দে মতোয়ারা।নিপুণ শিল্পীর তুলির ছোঁয়ায় দৃষ্টিনন্দন প্রতিমা মহাদেব, দেবী দুর্গা, শ্রীশ্রী লক্ষ্মী, শ্রীশ্রী সরস্বতী, শ্রীশ্রী গণেশ ও শ্রীশ্রী কার্ত্তিক সহ দেবীর পদতলে ধরাশায়ী অসুরের অধিষ্ঠান পূজা মণ্ডপগুলোতে।

আয়োজকরা পূজার সব উপকরণ পূজাস্থলে আনতে ব্যস্ত। এবার নগরের ১৬টি থানায় ব্যক্তিগত, ঘটপূজাসহ ২৭৬টি পূজামণ্ডপে এবং চট্টগ্রাম জেলার আওতাধীন ১৫ উপজেলায় সর্বজনীন ১ হাজার ৫৫৩টি ও পারিবারিক ৪১১টি মণ্ডপসহ মোট ১ হাজার ৯৬৪টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।