খাতুনগঞ্জে ভারতীয় পেঁয়াজ

চট্টলা ডেস্কঃ পাশ্ববর্তী দেশ ভারত পুনরায় রফতানি শুরুর পর ভোগ্যপণ্যের বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের আড়তে পৌঁছেছে চার ট্রাক পেঁয়াজ। রোববার (৩ জানুয়ারি) এসব পেঁয়াজ নামানো হয় আড়তে।

খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের বড় বিপণিকেন্দ্র হামিদুল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, এমনিতে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে সমুদ্রপথে প্রচুর পেঁয়াজ আমদানির ফলে দাম নিম্নমুখী ছিল। সঙ্গে সরবরাহ বাড়ছিল আগাম জাতের দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজের। সর্বশেষ ভারত পেঁয়াজ রফতানির ঘোষণা ও বাংলাদেশের স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজভর্তি ট্রাক আসার খবরে আমদানিকারকদের মধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গুনগতমানভেদে ৪৩ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত দাম হাঁকা হয় এ পেঁয়াজের।
মেসার্স মোহাম্মদিয়া বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী মিন্টু সওদাগর বলেন, পাইকারিতে সর্বনিম্ন ১৫-১৬ টাকায় তুরস্কের ছোট সাদা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। তুরস্কের সাদা বড় পেঁয়াজ ২০-২২ টাকা, ছোট লাল পেঁয়াজ ৪৫-৪৬ টাকা।

এ ছাড়া মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৪৫-৪৭ টাকা, দেশি মুড়িকাটা নতুন পেঁয়াজ ৩২-৩৫ টাকা, মিশরের পেঁয়াজ ২৯-৩০ টাকা, নিউজিল্যান্ড ১৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমদানিকারকদের যে পড়তা পড়েছে তা উঠছে না। ডিসেম্বর থেকেই দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। প্রথম দিকে ৪৮-৫০ টাকা বিক্রি হলেও এখন পাইকারিতে ৩২ টাকা ঠেকেছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে রেগুলার দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসবে। এটা চলবে মার্চ পর্যন্ত। এরপর আসবে দেশি হালি পেঁয়াজ।

একজন আড়তদার বলেন, সারা দেশে পেঁয়াজের চাহিদা থাকলেও চট্টগ্রামের বাজারে বড় লাল পেঁয়াজের চাহিদাই বেশি। ভারতের বড় পেঁয়াজ বেশি বিক্রি হয় চট্টগ্রামে।

পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কমতে থাকায় খুচরায়ও দাম কমছে। আকার, গুণগতমান, রং ভেদে ২৫ টাকা থেকে ৫৫ টাকায় খুচরায় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া রিকশাভ্যান, অলিগলির মুখে ১৮-২০ টাকায়ও নিম্নমানের পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা গেছে।