চট্টগ্রাম কাস্টমস দীর্ঘ সময় বন্দরে পড়ে থাকা ১৮৮ মেয়াদোত্তীর্ণ কনটেইনার ধ্বংস করবে

নগর প্রতিবেদক:

আমদানিকারকেরা খালাস না করায় দীর্ঘ সময় ধরে বন্দরে পড়ে থাকা ১৮৮ কনটেইনার মেয়াদোত্তীর্ণ, নিলাম অযোগ্য ও পচনশীল পণ্য ধ্বংস করবে চট্টগ্রাম কাস্টমস।

ধ্বংসের তালিকায় রয়েছে ফলমূল, অ্যানিমেল ফিড, ফিশফিড, পেঁয়াজ, বিভিন্ন ধরনের শস্যবীজ ও লিকুইড ড্রিংকস।

এ ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরে নিলামযোগ্য কনটেইনার রয়েছে সাড়ে ৬ হাজার টিইইউএস।সংশ্লিষ্টরা জানান, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে দীর্ঘদিন ধরে খালাস না নেওয়া পণ্যবোঝাই এসব কনটেইনার বেশ কয়েক বছর ধরে পড়ে আছে বন্দরের ইয়ার্ডে ।

সাধারণত বন্দর থেকে খালাস না নেওয়া পণ্য একটি নির্দিষ্ট সময় পর নিলামে তোলে কাস্টম কর্তৃপক্ষ। তবে যেসব পণ্য খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে পড়ে, সেগুলো নিলামে না দিয়ে ধ্বংস করা হয়। পণ্য ধ্বংসের পর কনটেইনারগুলো নিয়ম মেনে সংশ্লিষ্ট শিপিং এজেন্টদের কাছে হস্তান্তর করা হয়ে থাকে।

এতে বন্দরের ইয়ার্ডে কনটেইনারের চাপ কমে আসে। বন্দরের ভেতরে বর্তমানে জট না থাকলেও কনটেইনারের সংখ্যা বাড়ছে। ৪৯ হাজার টিইইউএস (২০ ফুট সমমানের) ধারণ ক্ষমতার বিপরীতে রোববার পর্যন্ত কনটেইনার ছিল ৩৯ হাজার ২৯৩ টিইইউএস। তাই ১৮৮ কনটেইনার সরানো হলে বন্দরের ওপর চাপ কমবে বলে জানান চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

শিপিং এজেন্টের একজন কর্মকর্তা বলেন, কনটেইনারে পণ্য আমদানির পর দেশের বাজারে দাম কমে গেলে কিংবা মামলাসহ নানা জটিলতার কারণে অনেক সময় আমদানিকারক বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারি করে না । ফলে বছরের পর বছর আটকে থাকে শিপিং এজেন্টের কনটেইনার ।

সব মিলিয়ে কনটেইনারগুলোর পেছনে বড় ধরনের লোকসান হয়ে যায় । এ ছাড়া বন্দর বা অফডকের জায়গা খালি হওয়ায় তা কনটেইনার জট সামাল দিতে ভূমিকা রাখবে। বন্দরের কার্যক্রম গতিশীল হবে।

কাস্টম হাউজের সহকারী কমিশনার (নিলাম শাখা) আলী রেজা জানান, কাস্টম হাউজের সংশ্লিষ্ট কমিটি ১৮৮টি কনটেইনার পণ্য ধ্বংসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এসব কনটেইনারে পণ্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ডাম্পিং গ্রাউন্ডে নিয়ে প্রথমে বুলডোজার দিয়ে মিশিয়ে ফেলা হচ্ছে। এরপর মাটি চাপা দেওয়া হচ্ছে। এই ধ্বংসের কার্যক্রম শেষ হতে কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ দিন সময় লাগতে পারে।