![](https://chattalatv.com/wp-content/uploads/2022/01/PicsArt_01-20-06.19.49.jpg)
![](https://chattalatv.com/wp-content/uploads/2022/01/PicsArt_01-20-06.19.49.jpg)
অর্থনীতি ডেস্ক :
নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় আয়-ব্যয়ে হিমশিম খাচ্ছে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। মূল্যস্ফীতির সরকারি হিসাব মিলছে না নিত্যপণ্যের বাজারে। আয়-ব্যয়ের ভারসাম্য রাখতে না পেরে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
দোকানীরা বলছেন, এক বছরে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে গড়ে ১২ শতাংশের বেশি। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাজারের তথ্য সংগ্রহ ও কারিগরি দুর্বলতায় বিবিএসের মূল্যস্ফীতির পরিসংখ্যান গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে।করোনাকালেও বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে দফায় দফায় । বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, গত ডিসেম্বর মাসে দেশে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ছিলো ৬ দশমিক শুন্য ৫ শতাংশ।
সংস্থাটির জরিপে, গত মাসে চট্টগ্রাম নগরে ভালো মানের গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৫৭২ টাকা কেজি, খাসি ৭৮০, দেশি মুরগী ৪শ ১০, বড় চিংড়ির কেজি ৬২০ টাকা, শিং মাছ টাকার নিচে। কিন্তু বাজারে মিললো ভিন্ন তথ্য।দোকানীরা বলছেন, বছর ব্যবধানে দাম কমেছে এমন পণ্য খুঁজে পাওয়া মুশকিল। দাম বেড়েছে চাল, ডালসহ প্রায় সকল পণ্যের।
বিবিএস এর তথ্যমতে, এক বছরে গড়ে মজুরি বেড়েছে ৬ দশমিক ১১ শতাংশ। তৈরি পোশাক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করা শ্রমিকরা বলছেন, বেতন কিছুটা বাড়লেও বাজারদরের সাথে তারা পেরে উঠছেন না। করোনাকালে অনেকের আয় কমেছে, কারো কারো বাড়েনি বেতন। মধ্যবিত্ত শ্রেণির এসব মানুষ বেকায়দায় পড়েছেন আরো বেশি।
মূল্যস্ফীতি নির্ধারণে বিবিএস রাজধানীসহ সারাদেশের মোট ১৪০ টি বাজার থেকে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত ৪ শতাধিক পণ্যের মূল্য সংগ্রহ করে।ভুল তথ্য নীতি নির্ধারকদের সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণের পথে বড় বাধা হয়ে দাড়াচ্ছে।
নেটিজেন ও পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, এর খেসারত দিতে হবে দেশের জনগণ তথা পুরো অর্থনীতিকে।