১০ দফা দাবিতে ৭২ ঘণ্টা কর্মবিরতির ঘোষণা পণ্য পরিবহন নেতাদের

নগর প্রতিবেদক :

গাড়ির কাগজপত্র চেকিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ, মোটরযান মালিকদের ওপর আরোপিত অগ্রিম আয়কর বাতিল, পুলিশের ঘুষ বাণিজ্য ও হয়রানি বন্ধসহ ১০ দফা দাবিতে ৭২ ঘন্টার কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ কার্ভাডভ্যান-ট্রাক-প্রাইমমুভার পণ্যপরিবহন মালিক অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ট্রাকচালক শ্রমিক ফেডারেশন।

শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) নগরের কদমতলী এলাকায় আন্তঃজেলা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির কার্যালয়ে এক সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে এ ঘোষণা দেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ কার্ভাডভ্যান-ট্রাক-প্রাইমমুভার পণ্য পরিবহন মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী জাফর আহমেদ বলেন, ‘লকডাউনের সময় পণ্যবাহী পরিবহনগুলো বন্ধ ছিল না। আমরা সরকারকে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা করেছি। বর্তমানে আমাদের ১৪ লাখ চালক লাইসেন্স পাওয়ার অপেক্ষায়। প্রতিদিন কাউকে না কাউকে লাইসেন্স দেয়া হচ্ছে, অথচ আমাদের চালকদের এখনো কোন লাইসেন্স দিচ্ছে না। এটার কারণ কি আমরা জানতে চাই। গাড়িগুলো কে চালাবে? সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ অনুযায়ী সংশোধনী দিয়েছে। এরপর সংসদে অধিবেশন শেষ হয়ে গেল কয়েকটা। অথচ এটার কোন ফলাফল এখনো আমরা পাইনি। আমাদের দাবিগুলো সরকারের উচ্চ পর্যায়ে জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনো কোনো সমাধান হয়নি।

তাই আগামীকালের (১৯ সেপ্টেম্বর) মধ্যে আমাদের দাবিগুলো মানা না হলে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে পরবর্তী ৭২ ঘন্টার কর্মবিরতি চলবে।

সড়কে আমাদের কোন গাড়ি চলবে না। আমরাও আমাদের দাবি থেকে পিছপা হবার সুযোগ নেই।

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে— প্রতি ৫০ কিলোমিটার পরপর পণ্য পরিবহন শ্রমিকদের জন্য দেশের সড়ক-মহাসড়কের নিরাপদ দূরত্বে বিশ্রামাগার ও কার্ভাডভ্যান-ট্রাক-প্রাইমমুভার টার্মিনাল নির্মাণ করতে হবে। সারাদেশের জন্য একই পরিমাণ ওজন নির্ধারণ করে অতিরিক্ত (ওভারলোড) পণ্য পরিবহন বন্ধে লোডিং পয়েন্ট তথা পণ্য পরিবহনের উৎস স্থলে সরকার নির্ধারিত ওজন নিশ্চিত করে পণ্যবাহী গাড়িগুলোতে মালামাল লোড করতে হবে। লোড করা গাড়িগুলোকে উৎসস্থলে পণ্যের ওজনস্লিপ দিতে হবে। গাড়ির কাগজপত্র চেকিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ, মোটরযান মালিকদের ওপর আরোপিত অগ্রিম আয়কর বাতিল, পুলিশের ঘুষ বাণিজ্য ও হয়রানি বন্ধ করা, ড্রাইভিং লাইসেন্সের জটিলতা নিরসন করে সহজ শর্তে লাইসেন্স প্রদান, পণ্য পরিবহনের সময় মালামাল চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই রোধে জরুরি কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, এসব অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ড্রাইভার, মালিক বা ট্রান্সপোর্ট এজেন্সিসহ সবাইকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা, গাড়ির কাগজপত্র হালনাগাদ করার সুযোগ দেওয়া।

এ সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কার্ভাডভ্যান -ট্রাক-প্রাইমমুভার পণ্য পরিবহন মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মকবুল আহমদ, বাংলাদেশ ট্রাক চালক শ্রমিক ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারি ওয়াজি উল্লাহসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।