১০ মাসে শেষ হলো বঙ্গবন্ধু ট্যানেলের সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ প্রকল্পের দ্বিতীয় টিউব (সুড়ঙ্গ) খনন করতে ১০ মাস সময় লেগেছে।

বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) চট্টগ্রামের আনোয়ারা প্রান্ত থেকে শুরু হওয়া এই টিউবটি খননের কাজ শেষ হয়।

প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ চৌধুরী জানান, টিউবটি পরিষ্কার করার পর জানুয়ারি মাসে এর ভেতরে যে অংশের ওপর দিয়ে গাড়ি চলবে, সেখানে স্ল্যাব বসানোর কাজ শুরু হবে।

গত বছরের ১২ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের আনোয়ারা প্রান্ত থেকে এই খননকাজ শুরু হয়েছিল। ওই সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ভার্চুয়ালি খননকাজের উদ্বোধন করেন। এর আগে ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদীর তলদেশে দেশের প্রথম টানেলের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন। এরপর ট্যানেলের পতেঙ্গা প্রান্ত থেকে প্রথম টিউবটির খনন কাজ শুরু হয়। গত বছরের ২ আগস্ট এটার খনন কাজ শেষ হয়।

হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, কর্ণফুলী নদীর নিচে ১৮ থেকে ৩১ মিটার গভীরতায় দুটি টিউব খনন করা হয়েছে। বসানোর মাধ্যমে টানেলটি নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রতিটি টিউব চওড়ায় হবে ৩৫ ফুট এবং উচ্চতায় প্রায় ১৬ ফুট। টিউব দুটির একটি দিয়ে গাড়ি শহর থেকে প্রবেশ করবে। আরেকটি টিউব দিয়ে ওপারে যাবে। দ্বিতীয় টিউবটি খননের মধ্য দিয়ে প্রকল্পটির ৮০ শতাংশের বেশি কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বাকি কাজগুলো শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, এই প্রকল্পের অধীনে ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার টানেল নির্মাণের পাশাপাশি টানেলের পূর্ব (আনোয়ারা) প্রান্তে ওপেন কাট ২০০ মিটার, কাট অ্যান্ড কাভারের ১৯৫ মিটার, অ্যাপ্রোচ রোড ৫৫০ মিটার এবং ২৫ মিটার ওয়ার্কিং শ্যাফট নির্মাণ করা হবে। অন্যদিকে টানেলের পশ্চিম (পতেঙ্গা) প্রান্তে ওপেন কাট ১৯০ মিটার, কাট অ্যান্ড কভারের ২৩০ মিটার, অ্যাপ্রোচ রোড ৪ হাজার ৭৯৮ দশমিক ০৯৫ মিটার এবং ২৫ মিটার ওয়ার্কিং শ্যাফট নির্মাণ করা হবে।কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ প্রকল্পটি ২০১৫ সালের নভেম্বরে অনুমোদন পায়। এটা নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে নয় হাজার ৮৮০ কোটি টাকা।

এর মধ্যে প্রকল্পে ঋণ হিসেবে চাইনিজ এক্সিম ব্যাংক পাঁচ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা অর্থায়ন করছে। বাকি টাকা বাংলাদেশ সরকার অর্থায়ন করবে।