নিজস্ব প্রতিবেদক :
খাগড়াছড়িতে কাজের খোঁজে গিয়ে র্যাবের হাতে ধরা পড়েছেন জিল্লুর ভাণ্ডারী হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. কামাল।
বুধবার (৬ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৬টায় খাগড়াছড়ির কলেজপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাবের সদস্যরা।
গ্রেপ্তার কামাল চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার গোদারপাড়ার আমিনুল হকের ছেলে।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদে মো. কামাল বলেছে সে একজন জিপ গাড়ির ড্রাইভার। জিল্লুর ভাণ্ডারী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ২০১৭ সালে জামিনে মুক্তি পান। এরপর এলাকায় সিএনজি চালিয়েছে সে। কিন্তু সম্প্রতি মামলার রায় ঘোষণার পরপরই সে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ভিন্ন ভিন্ন পেশার কাজ নেয়। সবশেষ রাঙ্গামাটির পর্যটক এলাকা সাজেক ভ্যালিতে একটি রেস্টুরেন্টে ওয়েটারের কাজ করেছে সে। সেখান থেকে কাজের সন্ধানে খাগড়াছড়িতে আসলে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, তার বিরুদ্ধে রাঙ্গুনিয়া থানায় ৬টি, মহানগরীর কোতোয়ালী থানায় ও খাগড়াছড়ি সদর থানায় ১টি করে মোট ৮টি মামলা রয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে তাকে রাঙ্গুনিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
র্যাবের সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রানীরহাট প্রাথমিক বিদ্যালয় গেটের সামনে দুর্বৃত্তদের এলোপথাড়ি মারধর আর গুলিতে খুন হন জিল্লুর রহমান ভান্ডারি। পরর্বতীতে জিল্লুর ভাণ্ডারীর ছোট ভাই মোহাম্মদ আজিম উদ্দিন ৮ জনের নাম উল্লেখ করে রাঙ্গুনিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় আরও ৪ থেকে ৫ জনকে। মামলায় ২৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।