আইন আদালত:
চট্টগ্রামে সাইবার ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা একটি মামলা নিয়ে বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ ও চট্টগ্রামের সাবাদিকদের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও বিষয়টি নিয়ে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, ১৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালে পাপ্পি ও ববির প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার পরিচয়ে মফিজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল, চট্টগ্রামের আদালতে মামলাটি করেন৷ মামলায় মোহাম্মদ হাসান প্রকাশ আল নাহিয়ান বিন হাসান পিতা সামশুল আলমসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করা করা হয়৷ এতেআসামী করা হয়েছে ২ বছর ১০ মাস বয়সি শিশু ও বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগকে। আসামির তালিকায় পেশাগত পরিচয় গোপন রেখে এক সাংবাদিকের নামও দেয়া হয় উক্ত মামলায়। পরে, মামলায় আসামিদের এসব নাম দেখে অনেক আইনজীবীও অবাক হয়েছেন৷
এই বিষয়ে শিশুটির পিতা হাসান কনস্ট্রাকশন এর স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ হাসান বলেন, চুরির মামলার এজাহারভূক্ত আসামি দুই সহোদর পাপ্পি ও ববির বিরুদ্ধে আমি গত ১৪ নভেম্বর সুস্পষ্ট তথ্য প্রমানসহ সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করি৷
বিষয়টি আইনীভাবেই মোকাবেলা করবেন বলেও জানান মো. হাসান।
এদিকে মামলার ৬ নং আসামীর নাম হিসেবে বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের নামের এক ফেইসবুক ভিত্তিক পেইজের নাম দেয়া হয়েছে । এতে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের মধ্যে ৷
সচরাচর পেইজের এডমিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হলেও এক্ষেত্রে সরাসরি একটি উপজেলা আওয়ামী লীগের নাম উল্লেখ করায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বিব্রত হয়েছেন।
একজন সাংবাদিকের প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে যদি কারো কোন আপত্তি থাকলে সেটা প্রতিবাদ জানানোর সুযোগ থাকে। কিন্তু তা না করে এখানে পেশাগত নাম পরিচয় গোপন করে মামলায় আসামি করা হয়েছে। যা সাংবাদিক মহলে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে আইসিটি মামলা করা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে গেলে তাতে তাদের মত প্রকাশে অন্তরায় সৃষ্টি বলে মনে করছেন সাংবাদিক মহল।