৫০ হাজার টাকার মুচলেকায় জামিন পেলেন পরিমণি !

বিনোদন ডেস্ক:

ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত চিত্রনায়িকা শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমণির বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় জামিন দিয়েছেন আদালত।

এতে পরীমণির মুক্তিতে আর বাধা নেই বলে জানান তার আইনজীবী।

মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালত নারী, অভিনেত্রী ও অসুস্থতা বিবেচনায় ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় পরীমণির জামিন মঞ্জুর করেন।

এদিন পরীমণির পক্ষে জামিন শুনানি করেন তার আইনজীবী মজিবুর রহমান, নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী, কামরুজ্জামান চৌধুরীসহ আরও অনেকে। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে তার বিরোধিতা করা হয়।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিনের আদেশ দেন।এর আগে ২২ আগস্ট ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে পরীমণির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান জামিন আবেদন করেন।

পরে আদালত শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।২১ আগস্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা পরীমণিকে তৃতীয় দফায় রিমান্ড শেষে হাজির করেন।

এরপর তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে পরীমণির পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান চৌধুরী ও নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভীসহ আসামিপক্ষের অন্য আইনজীবীরা আদালতে পরীমণির সঙ্গে কথা বলার জন্য আবেদন করেন।

আদালত সেই আবেদন নামঞ্জুর করে পরীমণিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ২৬ আগস্ট হাইকোর্ট ২ দিনের মধ্যে কেন জামিন শুনানির নির্দেশ দেয়া হবে না এই মর্মে বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশকে ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কারণ দর্শানোর রুল জারি করেন।বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি কেএম জাহিদ সারওয়ার কাজলের বেঞ্চ ওই আদেশ প্রদান করেন। গত রোববার হাইকোর্টের ওই আদেশ পাওয়ার পর বিচারক ইমরুল কায়েশ হাইকোর্টের রুলের জবাব দেয়ার আগেই ৩১ আগস্ট জামিন শুনানির তারিখ পুনঃনির্ধারণ করে এগিয়ে আসেন।

এর আগে ১৯ আগস্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলামের আদালত পরিমনির একদিন, ১০ আগস্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাসের আদালত দুই দিন এবং গত ৫ আগস্ট একই মামলায় পরীমণির চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ।

তিন দফায় পরীমণিকে মোট ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।এর আগে ৪ আগস্ট রাতে প্রায় ৪ ঘণ্টার অভিযান চালিয়ে বনানীর বাসা থেকে পরীমণি ও তার সহযোগীকে আটক করে র‍্যাব।

তার বাসা থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয় বলে জানানো হয়। আটকের পর তাদের নেওয়া হয় র‍্যাব সদর দফতরে। পরে র‍্যাব-১ বাদী হয়ে মাদক আইনে পরীমণির বিরুদ্ধে মামলা করে।

পরীমনির মামলায় বলা হয়, পরীমনি এসব মাদকদ্রব্য কবির নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে সংগ্রহ করে বাসায় রাখতেন। মামলায় কবিরের পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা উল্লেখ নেই। একই মামলায় আবার র‌্যাব দাবি করেছে, চিত্রনায়িকা পরীমনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, তিনি প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের কাছ থেকে মাদক সংগ্রহ করতেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের যে ধারায় পরীমনির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে পারলে তাঁর সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড হতে পারে।