চট্টলা ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফেসবুক ও টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। দেশটির পার্লামেন্ট ভবনে নজিরবিহীন হামলার ঘটনার পরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় তৎপর হন ট্রাম্প। বিক্ষোভকারীদের ‘দেশপ্রেমিক’ উল্লেখ করে এক ভিডিও বার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘আমি তোমাদের ভালোবাসি।’ এর পরপরই ফেসবুক ও টুইটার ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয় এবং ভিডিও সরিয়ে নেয় ইউটিউব।
সমর্থকদের উদ্দেশ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া বক্তব্যের ভিডিও সরিয়ে নিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউব।
ট্রাম্প তার সমর্থকদের বাড়ি ফিরে যেতে বললেও তার বক্তব্যে আবারও নির্বাচনে কারচুপির অসত্য অভিযোগ তুলেছেন।
ফেসবুক ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য সম্পর্কে জানিয়েছে, “আমরা সেটি সরিয়ে নিয়েছি কারণ আমাদের বিশ্বাস তা চলমান সহিংসতা স্তিমিত করার চেয়ে সহিংসতা বাড়ানোতে ভূমিকা রাখবে।” সহিংসতা শুরু হওয়ার আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ন্যাশনাল মল চত্বরে তার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন যে নির্বাচনে চুরি করা হয়েছে।
ঘণ্টাখানেকের মধ্যে যখন ক্যাপিটল ভবনের ভেতরে ও বাইরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে, তখন ট্রাম্প আবারও একটি ভিডিও প্রকাশ করেন এবং আবারও নির্বাচনে কারচুপির অসত্য অভিযোগ তোলেন। ইউটিউব জানিয়েছে, তারা ভিডিওটি সরিয়ে নিয়েছে কারণ সেটি ‘নির্বাচনে কারচুপি সংক্রান্ত তথ্য ছড়ানোর নীতি’ ভঙ্গ করা হয়েছে। টুইটার শুরুতে ট্রাম্পের ভিডিও সরিয়ে না নিলেও তার অ্যাকাউন্টের টুইট, রিটুইট, লাইক ও কমেন্ট করার ক্ষমতা রহিত করে। তবে পরে তারা ভিডিওটি সরিয়ে নেয়।
টুইটার জানিয়েছে, “সহিংসতার সম্ভাবনা থাকায় আমাদের সিভিক ইন্টেগ্রিটি পলিসি অনুযায়ী আমরা এঙ্গেজমেন্ট সীমিত করছি।”সূত্র: বিবিসি বাংলা