স্পোর্টস ডেস্ক:
প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ আয়োজন করে উদ্বোধনী ম্যাচ খেলতে নেমেছিল মরুর দেশ কাতার । অবশ্য হারের তিক্ত স্বাদ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো কাতারকে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ইকুয়েডর এর কাছে ২-০ গোলে হারলেও কাতারের লড়াকু মনোভাব নজর গেছে ফুটবল বোদ্ধাদের ।
কাতারের রাজধানী দোহায় দুই দলকে সমর্থন জানাতে ৬০ হাজার ধারণক্ষমতার আল বায়াত স্টেডিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ ছিল। ম্যাচের ৫ম মিনিটে প্রায় গোল খেয়েই বসেছিল কাতার। স্বাগতিকদের জালে বল জড়িয়ে দেয় লাতিন আমেরিকার দেশটি। তবে ইকুয়েডর এর অধিনায়ক ভ্যালেন্সিয়ার সেই গোল ভিএআরে দেখে অফসাইডের কারনে বাতিল করে দেন রেফারি। অবশ্য গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি ইকুয়েডরকে।
ম্যাচের ১৫ মিনিটে কাতার গোলরক্ষক ইকুয়েডরের অধিনায়ক ভ্যালেন্সিয়াকে ডি বক্সের মধ্যে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় লাতিন আমেরিকার দেশটি।স্পট কিক থেকে বল জালে জড়াতে কোনো ভুলই করেননি ভ্যালেন্সিয়া। ম্যাচের ২য় গোলটি ইকুয়েডর আদায় করে ম্যাচের ৩১তম মিনিটে। প্রিকাইডোর ক্রস থেকে দারুণ হেডে আবারো বল জালে জড়ান ইকুয়েডর অধিনায়ক ভ্যালেন্সিয়া।
শুরুর গোলটি রেফারি বাতিল না করলে হ্যাটট্রিকের আনন্দে ভাসতেন তিনি। প্রথমার্ধে কাতার বিচ্ছিন্নভাবে কিছু আক্রমণ করলেও গোলের সবচেয়ে ভালো সুযোগ কাতার সৃষ্টি করে ম্যাচের প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে। তবে দলটির স্ট্রাইকার আল মোয়েজ সহজ সুযোগ মিস করেন। হেড করলে নিশ্চিত গোল, এমন জায়গা থেকে বল মাথায় ছোঁয়াতে পারেননি তিনি।
প্রথমার্ধ খারাপ খেললেও দ্বিতীয়ার্ধে বেশ ভালোই লড়াই করে কাতারের ফুটবলাররা। বিশেষ করে দলটির ডিফেন্ডাররা। যার ফলে ইকুয়েডর বেশি সুবিধা করতে পারেনি। একের পর এক আক্রমণ করলেও তা মুখ থুবড়ে পড়ে কাতারের ডিফেন্সের সামনে ।
দ্বিতীয়ার্ধে কাতারও বেশ কিছু প্রতি আক্রমণ করে। তবে জালের নিশানা খুঁজে পায়নি স্বাগতিকরাও।
ফাউলময় এই ম্যাচে কাতারের ১৬ ফাউলের বিপরীতে ইকুয়েডর করে ১৪টি ফাউল ।