চট্টগ্রামে কারবালা দিবসে সীমিত আকারে শোভাযাত্রা- সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মুসলিম মিল্লাতের মহান জাতীয় শহীদ দিবস ও শাহাদাতে কারবালা দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে চট্টগ্রামে পবিত্র কারবালা দিবস পালিত হয়েছে।

আজ (২০ আগস্ট) শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে সমাবেশ ও শোভাযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে ধর্মীয় সংগঠন ‘ওয়ার্ল্ড সুন্নী মুভমেন্ট ও ওয়ার্ল্ড হিউম্যানিটি রেভুলেশন’ চট্টগ্রাম। 

পবিত্র কারবালা দিবস উপলক্ষে আজ চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় ‘বিশ্ব সুন্নী আন্দোলন সংগঠন, উদ্যোগে ‘কারবালার গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান সংগঠনের মহাসচিব আল্লামা শেখ রায়হান রাহবার ।

এ সংগনের বিপ্লবের কেন্দ্রীয় নেতা আল্লামা আরেফ সারতাজ সভাপতির বক্তব্যে বলেন, মিথ্যা-অবিচার-স্বৈোচার  থেকে সত্য ও মানবতার মুক্তি সাধনায় সর্বকালের সর্বোচ্চ মহা শাহাদাত ও মুসলিম মিল্লাতের মহান জাতীয় শহীদ দিবস কারবালাকে মনে ধারণ করতে এই সমাবেশ আয়োজন করছি আমরা।

প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি বলেন, পবিত্র কারবালার শোকাবহ ঘটনাবহুল দিনটি মুসলমানদের কাছে ধর্মীয়ভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ত্যাগ ও শোকের প্রতীকের পাশাপাশি বিশেষ পবিত্র দিবস হিসেবে দিনটি পালন করা হয় মুসলিম বিশ্বে।

বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় ও সংক্ষিপ্ত কর্মসূচিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পবিত্র আশুরা পালিত হয়।“কারবালার এই শোকাবহ ঘটনা ও পবিত্র কারাবালা নিয়ে শাশ্বত বাণী সকলকে অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং সত্য ও সুন্দরের পথে চলতে প্রেরণা যোগায়” বলে মন্তব্য করেন আল্লামা শেখ রায়হান রাহবার ।

এ সময় নেতৃবৃন্দরা বলেন, কারবালায় কাফের এজিদের প্রায় ত্রিশ হাজার সদস্যের সুসজ্জিত বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রায় ১০০ থেকে ১৪০ জন সঙ্গী নিয়ে ইমাম হুসাইন বীরের মত লড়াই করে শহীদ হন।এই অসম লড়াইয়ে তাঁর পরিবারের অনেক সদস্যসহ ৭২ জন সঙ্গী শহীদ হন। কারবালা বিপ্লব মুসলমানদের মধ্যে প্রকৃত ইসলামের চেতনা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করেছে এবং প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ঈমানী সত্ত্বা-চেতনা-জাতীয়তা ও বস্তুবাদের উর্ধ্বে মানবসত্তা ও মানবাধিকার।

উল্লেখ্য যে, হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম (এই দিন) মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) ও তার পরিবার এবং অনুসারীরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শহীদ হন। কারবালার ঘটনা স্মরণ করে বিশ্বের মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালন করে থাকে। শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম ইসলামের মহান আদর্শকে সমুন্নত রাখতে তাদের এই আত্মত্যাগ মানবতার ইতিহাসে সমুজ্জ্বল রয়েছে।