নিজস্ব প্রতিবেদক
সকল যুগের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ খলিফায়ে রাসূলের কালজয়ী দর্শন পৃথিবীর সবচেয়ে বর্বরতম সময়ে মহান আল্লাহর প্রিয়তম রাসূল (দ.) ধরার বুকে এসেছেন। পৃথিবীকে বদলে দিয়েছেন মানবিকতায়, সহমর্মিতায় ও ভালোবাসায়।
কুফরে লিপ্ত মানুষকে শিখিয়েছেন তৌহিদী বাণী। নব্য জাহেলিয়ত যুগে এসে খলিফায়ে রাসূল (দ.) হযরত গাউছুল আজম (রা.) অনাচারে ছেয়ে যাওয়া পৃথিবীর বুকে ছড়িয়েছেন এমন এক বৈপ্লবিক দর্শন যা সকল সময়ের মানুেষর জন্য অনুসরণীয় এবং অনুকরণীয়। প্রজন্মের চিন্তাধারা বদলে দেওয়া এই দর্শনে রয়েছে নবীপ্রেমে অশ্রু ঝরানোর শিক্ষা, তাহাজ্জুদের জায়নামাজে অনুতপ্ত হওয়ার তালিম, তাওয়াজ্জুহ নিয়ে আত্মশুদ্ধির বিরল পাঠ্যক্রম, ফয়েজে কুরআনের অনন্য কার্যক্রম, এখলাসের অমূল্য নিয়ামত, ইনসাফ ও ইবাদতের গভীরে গিয়ে নিবিড় অনুশীলন, হারাম-হালালের পার্থক্য নিরুপণ করে জীবন ধারণের নির্দেশনা।
৯ জানুয়ারি (সোমবার) বিকেল ৩টা হতে শুরু হওয়া চট্টগ্রাম জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ সম্মুখস্থ ময়দানে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক গাউছুল আজম কনফারেন্সে উপস্থিত লাখো মুসলমানের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাগতিয়ার মোর্শেদে আজম এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম বিশ্বিবিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ও সিনেট সদস্য এবং মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশের সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গাউছুল আজম কনফারেন্সে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্বিবিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের প্রফেসর ড. জালাল আহমদ, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আলহাজ্ব মুহাম্মদ নুর খান, ফটিকছড়ি নানুপুর মাজহারুল উলুম গাউছিয়া ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ হযরতুলহাজ্ব আল্লামা মুছলেহ উদ্দীন আহমদ মাদানী প্রমুখ।
প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ ফোরকান মিয়া।কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ রকিব উদ্দীন, মাওলানা মুহাম্মদ শফিউল আলম, মাওলানা মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন নূরি, মাওলানা মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
কনফারেন্সে শেষে প্রধান অতিথি প্রিয় নবীজির উসিলায় এবং খলিফায়ে রাসুল (দ.) এর এখলাসের সাদকায় দেশ জাতির উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ মোনাজাত করেন।