নগর প্রতিবেদক :
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি কেয়ারের জরুরি সেবা উদ্বোধন করা হয়েছে।
শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে ফিতা কেটে ইমারজেন্সি কেয়ার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
চমেকে বহুলকাঙ্খিত এ ইমারজেন্সি কেয়ার চালু হওয়ায় এক ছাদের নিচে মিলবে সব ধরনের জরুরি সেবা এমনটাই প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
চমেক হাসপালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো মিজানুর রহমান, চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির, চিটাগাং ক্লাবের চেয়ারম্যান নাদের খান, চমেকের অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার, বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খান, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ।
উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি, চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী প্রমুখ।
উদ্বোধনের পর শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকারি সব হাসপাতালের মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও নির্দেশনায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপতালে এই ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি কেয়ারের জরুরি সেবা। বহুলকাঙ্খিত এ ইমারজেন্সি কেয়ার চালুর ফলে এক ছাদের নিচে মিলবে সকল ধরনের জরুরি সেবা। এর ফলে একজন রোগীর প্রাথমিক জরুরি সেবাসহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সেবাটুকু এই সেন্টারে পাবে। ফলে তাকে মূল ওয়ার্ডেও যেতে হবে না অনেকাংশে। এতে করে হাসপাতালের অন্য ওয়ার্ডগুলোর ওপর চাপ কমবে। এই কাজে চট্টগ্রাম ক্লাবসহ এখানকার বিত্তশালীরা এগিয়ে এসেছেন।’
এর আগে ২০২০ সালের ১৩ অক্টোবর থেকে পুরাতন জরুরি বিভাগ ও ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ড নিয়ে ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি কেয়ার নামে আধুনিক জরুরি বিভাগ স্থাপনের কর্মযজ্ঞ শুরু হয়।
৩১ হাজার বর্গফুটের নতুন ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি কেয়ারের থাকবে মেডিসিন, সার্জারি, অর্থোপেডিক্স, কার্ডিওলজি, পেডিয়াট্রিক্স, আইসিইউ/অ্যানেস্থেসিয়া এ ৬টি বিভাগের বিশেষজ্ঞরা।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুরোদমে চালু হলে রোগী ভর্তি, রোগ নির্ণয়, চিকিৎসাসহ সব ধরনের সেবা মিলবে।
ফলে সংকটাপন্ন রোগীদের নিয়ে ছুটতে হবে না ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে। এতে রোগীদের হয়রানি ও বিড়ম্বনা বহুলাংশে কমে যাবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ২৪ ঘণ্টা রোগীদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পাশাপাশি থাকবেন সিনিয়র কনসালটেন্ট পর্যায়ের চিকিৎসকরাও। প্রয়োজন হলে অন কলেও রোগীদের সেবা নিশ্চিত করা হবে।
প্যাথলজি, এক্স-রে, ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাফি, আলট্রাসনোগ্রাফি, পালস অক্সিমিটার এবং রক্তের জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা থাকবে।
সার্বক্ষণিক সেবা প্রদান করা হবে এ থেকে।
উল্লেখ্য, চালু হওয়া এই ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি কেয়ারের অবকাঠামোগত ব্যয় হয় প্রায় দুই কোটি টাকা। আর শয্যা থেকে শুরু করে সকল যন্ত্রপাতি চিটাগাং ক্লাব থেকে প্রদান করা হয় বলে জানা গেছে।