পাহাড়তলীর রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ওয়ার্কশপে দুর্ধর্ষ চুরি

নগর প্রতিবেদক:

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কি চুরি হয়েছে সেটি জানাতে না পারলেও গণমাধ্যমের হাতে আসা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ট্রেনের স্টিলের জানালা চুরির ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (২৮ আগস্ট) ফজরের নামাজের সময়ের আগে পাহাড়তলীতে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ওয়ার্কশপের দেয়াল টপকিয়ে এরকম মালামাল চুরির ঘটনা ঘটেছে।

অথচ কতৃপক্ষ এর কিছুই জানে না বলে দাবি করেছেন। চট্টগ্রামের রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের ওয়ার্কশপে কিছুদিন পর পর চুরির ঘটনা ঘটেই চলছে।

জানা গেছে, রেলের কর্মচারীদের যোগসাজসে একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটলেও দায়সারা তদন্তে অধরাই থেকে যায় চোর চক্রের সদস্যরা। এর ফলে থেমে নেই চুরির ঘটনাও।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেলওয়ে নিরপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) এএসআই নাফিজ ইমতিয়াজ বলেন, ‘এ বিষয়টি নিয়ে এখনো তদন্ত কার্যক্রম চলছে। এ মুহূর্তে এ বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। কে বা কারা চুরি করেছে তা এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।’ কি চুরি হয়ছে জানতে চাইলে তাও বলতে নারাজ এ কর্মকর্তা।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অফিস

চুরির সময়কার ভিডিওতে দেখা যায়, একজন ব্যক্তি ওয়ার্কশপের দেয়ালের ওপর দাঁড়িয়ে আছে এবং ওয়ার্কশপের ভেতরের অংশ থেকে আরেকজন তাকে সাহায্য করছে। দেয়ালের ওপরে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিকে নিচ থেক চুরি করা মালামাল দিচ্ছে নিচে থাকা ব্যক্তিটি। চুরি করা মালামালগুলো পরেলওরিস্কারভাবে সনাক্ত করা না গেলেও তা ট্রেনের স্টিলের জানালা বলে জানিয়েছে এক কর্মচারী। 

ওই জোনের রেলওয়ে নিরপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) চীফ ইন্সপেক্টর মো. একরামুল শিকদার বলেন, ‘চোর এখনো পলাতক রয়েছে। তবে তাকে ধরার চেষ্টা চলছে এবং মামলাও প্রক্রিয়াধীন।’ এর আগেও গত ফেব্রুয়ারি পাহড়তলীতে অবস্থিত ওয়ার্কশপ থেকে টিন চুরির ঘটনা ঘটেছিল।

চট্টগ্রামের রেলওয়ে ওয়ার্কশপে রেলওয়ের নানা প্রকার মূল্যবান জিনিসপত্র রাখা হয়। অথচ নিরাপত্তাহীন অবস্থায় অরক্ষিতভাবে থাকে সবকিছু, নেই কোন সিসিটিভি ক্যমারাও।

রেলওয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ওয়ার্কশপে প্রবেশ করার যে পথগুলো আছে তার মধ্যে চোরের জন্য আদর্শ পথ হলো দেয়াল টপকানো।

কারণ, দীর্ঘদিন ধরে দেয়ালগুলো অরক্ষিত। সীমানা প্রাচীরগুলো যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ উঁচু করা ও নিরাপত্তার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা থাকতো তবে চুরি করা সম্ভব হতো না।