নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রাম নগরের রৌফাবাদ এলাকার রাজা মিয়া কলোনির পোশাক শ্রমিক মুক্তা ও মাংস বিক্রেতা আব্দুল খালেক দম্পতির ছোট ছেলে ১৮ মাস বয়সী আরজু।
প্রতিদিনের মত গত ১৩ এপ্রিলও বাবা-মা দুজনেই তাদের শিশু আরজুকে ১২ বছর বয়সী বড় মেয়ে নাজমা আক্তারের কাছে রেখে যে যার কাজে চলে যায়। ওই দিন সকাল ১০টা থেকে ১০টা ২০ মিনিটের মধ্যে নাজমা কলোনির অন্যত্র গেলে এসময় শিশু আরজু চুরি হয়ে যায়। মুক্তা ও আব্দুল খালেক দম্পতি বাসায় ফিরে শিশু সন্তানকে না পেয়ে পুলিশকে জানালে ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পর অভিযান চালিয়ে হবিগঞ্জ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে। এ সময় তিন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে হবিগঞ্জের মাধবপুরের খররা গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন— লক্ষ্মীপুরের মৃত জয়নাল আবেদীনের মেয়ে কুলসুম ওরফে কুসুম ওরফে সুমি (২৭), কুলসুমের সহযোগী বেলাল (২৯) এবং হবিগঞ্জের মাধবপুরের খররা নোয়াপাড়া এলাকার খোরশেদা বেগম (৫৫)।
বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বলেন, গত ১৩ এপ্রিল আনুমানিক সকাল ১০টা থেকে ১০টা ২০ মিনিট এমন সময়ে বাচ্চাটি চুরি হয়ে যায়। সেদিন সকাল ৭টার দিকে মুক্তা ও আব্দুল খালেক দম্পতি তাদের ১২ বছর বয়সী বড় মেয়ে নাজমা আক্তারের কাছে রেখে যে যার কাজে যায়। বড় মেয়ে নাজমা কলোনির অন্য দিকে গেলে সুযোগ বুঝে ১৮ মাসের শিশু আরজুকে কোলে নিয়ে চুরি করে কৌশলে পালিয়ে যায় আসামি কুলসুম ওরফে কুসুম ওরফে সুমি। মুক্তা ও আব্দুল খালেক দম্পতি বাসায় ফিরে খোঁজাখুঁজির পর না পেলে পুলিশকে জানায়।
বায়েজিদ জোনের উপকমিশনার মোখলেছুর রহমান বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনার পর পুলিশ আসামি কুলসুমকে শনাক্ত করে কিন্তু তার পুরো নাম ঠিকানা কেউ জানতো না পুলিশ। কুলসুম ওরফে কুসুম ওরফে সুমি রৌফাবাদ এলাকায় একেক সময় একেক কলোনিতে দুই, তিন মাস করে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। পরে তদন্তে জানতে পারা যায় তার বাড়ি লক্ষ্মীপুরে। বাচ্চাটি চুরির পর তারা রৌফাবাদ থেকে কৌশলে আমিন কলোনি এলাকায় কথিত স্বামী সোহেলের সঙ্গে আত্মগোপন করে। এরপর সোহেলের বাড়ি মৌলভীবাজার না গিয়ে হবিগঞ্জের মাধবপুর খররা গ্রামের নোয়াপাড়া এলাকার আত্মগোপন করে। সেখানে অভিযান চালিয়ে ৪৮ ঘণ্টার চেষ্টায় অপহৃত শিশু ও অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করি। এ ঘটনায় অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে বায়েজিদ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।’