রমযানে দ্রব্যমূল্য উর্ধগতি ঠেকাতে জেলা প্রশাসনের সাড়াশি অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি ঠেকাতে জেলা প্রশাসনের অভিযাননিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর বাজার মূল্য স্থিতিশীল রাখতে চট্টগ্রাম মহানগরের রিয়াজউদ্দিন বাজারে মনিটরিং ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে।

বুধবার (১৫ মার্চ) সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসানের নেতৃত্বে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: উমর ফারুক এবং সহকারী কমিশনার প্রতীক দত্ত রিয়াজুদ্দিন বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন।

অন্যদিকে সহকারী কমিশনার ( ভূমি)ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা কাজির দেউরী বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন।এই সময় চালের দোকান , মুদির দোকান, এবং সবজির বাজারে জিনিস পত্রের ক্রয় ও বিক্রয় মূল্যে ব্যাপক অসঙ্গতি লক্ষ্য করা যায়।

বেশিরভাগ দোকানদারই ক্রয় রশিদ দেখাইতে পারেনি। বাজার মনিটরিং ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময়ে নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রয় এবং পণ্যের মূল্য তালিকা না থাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯, অনুযায়ী একাধিক প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক ও মোট ৩৫০০ টাকা জরিমানা এবং ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইন, ২০১৮ এর ২৯ ধারা লংঘনে ৪৬ ধারায় ৫০০ টাকা জরিমানা এবং সতর্ক করা হয়। এছাড়াও পণ্য মজুদ না করার ব্যপারেও সব দোকানদারকে সতর্ক করে দেয়া হয়।

পরিদর্শনে ভোজ্য তেল, সিলিন্ডার গ্যাস, চাল, চিনি, পেঁয়াজ, খেঁজুর, সবজি, মাছের বাজার, গরুর মাংসের বাজার, পোলট্রিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য তালিকা, ক্রয়-বিক্রয় রসিদ পরিবীক্ষণ করা হয়। পরর্বতীতে খাতুনগঞ্জের চিনির গুদাম এবং ফলমুন্ডি তে তদারকী করা হবে। এসময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসান বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি নির্ধারিত মূল্যের বাইরে বিক্রিসহ অন্যান্য পণ্য সঠিক দামে বিক্রি হচ্ছে কিনা তা তদারকি করা হয়েছে। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখা এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকল্পে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রমযান মাস এলেই দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতি ঘটানোর চেষ্টা করে। যার ফলে আমরা আগে থেকেই অভিযান শুরু করেছি। যারাই কারসাজি করবে বিধি মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা বলেন, অভিযানকালে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় একটি ফলের দোকানকে ৩,০০০/- জরিমানা করা হয়। এছাড়া সকল দোকানের ডিজিটাল বাটখারা বিএসটিআই প্রতিনিধির মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয়। ক্রয়-বিক্রয় মূল্যের রশিদ যাচাই, বিভিন্ন প্যাকেটজাত পন্যের মেয়াদ যাচাই, চিনি, খেজুর, ছোলা ও তেলসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য যাচাই করা হয়। এ সময় সানমার এর একটি দোকানকে ৫০০০/- জরিমানা করে অন্যান্য রেস্টুরেন্টগুলোকে সতর্ক করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, মানুষের কষ্ট লাগবে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।অভিযানে আনসার, র‍্যাব বিএসটিআই, সিএমপি, ক্যাব ও কৃষি বিপনন কর্মকর্তা এ অভিযানে সহায়তা করেন।