শব্দ দূষণ বেড়েছে নিরব এলাকায় উদ্বেগজনক হারে

নগর প্রতিবেদক :

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের দুইটি স্থানকে নীরব এলাকা ঘোষণা করা হলেও এসব এলাকায় উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে শব্দ দূষণ।

শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কেবি আবদুস সাত্তার মিলনায়তনে পরিবেশ অধিদফতর আয়োজিত সাংবাদিকদের শব্দ সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক খন্দকার মাহমুদ পাশা।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রহমান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) ট্রাফিক পশ্চিমের উপ-পুলিশ কমিশনার তারেক আহমেদ, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ ও পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মুহিদুল আলম।

শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় বক্তারা বলেন, জামালখান স্কুলের গোলচত্তরের চারপাশে ১০০ মিটার ও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চারপাশে ১০০ মিটার এলাকা নীরব এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

কিন্তু এ সব এলাকায় শব্দ দূষণের হার সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি রয়েছে।

তারা বলেন, নগরজীবনে স্বাস্থ্যঝুঁকির একটি অন্যতম কারণ শব্দ দূষণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইড লাইন অনুযায়ী, মানুষের শব্দ গ্রহণের সহনীয় মাত্রা ৪০ থেকে ৫০ ডেসিবল।

নির্মাণকাজ, যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কারণে এ সমস্যা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।

এক্ষেত্রে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে। কারণ সকলে সম্মিলিত প্রয়াসই শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ঈসমাইল খান।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, শব্দ দূষণ রোধে দ্রুত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা শুরু করা জরুরি।

হাইড্রোলিক হর্ন আমদানি বন্ধের জন্য আমদানি আইন সংশোধন করা হচ্ছে। শব্দ দূষণে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে ক্যাম্পেইন করা হবে।

তিনি বলেন, পরিবেশ অধিদফতর ২০২০-২২ মেয়াদে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা-২০০৬ অনুযায়ী, শব্দের সহনশীল মাত্রা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হলেও আমরা তা অনুসরণ করতে পারছি না।