সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পটি সম্পুর্ণ বেআইনি ও সংবিধান পরিপন্থি -আইনজীবি বক্তারা

নগর প্রতিবেদক:

প্রাণ-প্রকৃতিতে ভরপুর হেরিটেজ ঘোষিত চট্টগ্রামে সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পটি সম্পুর্ণ বেআইনি এবং সংবিধান পরিপন্থি। করা হলে এসব জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে যাবে।

সিআরবি রক্ষায় ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেকে বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নাগরিক সমাজের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেন চট্টগ্রামের আইনজীবীবৃন্দ।

সংহতি সমাবেশে বক্তারা বলেন, “সিআরবি প্রাকৃতিক পরিবেশ, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যগত এলাকা হিসেবে সংরক্ষণে সিডিএ ও সরকারের সিদ্ধান্ত, সংবিধানের বিধান। শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের কবর, স্মৃতিচিহ্ন সব ধ্বংস ও গুড়িয়ে দিয়ে যারা হাসপাতাল করতে চায়, তারা এ দুঃসাহস এদেশের মাটিতে কিভাবে পায়? কিন্তু তাদের চক্রান্ত আমরা সফল হতে দেবনা! যারা আজ সিআরবি ধ্বংস করে হাসপাতাল করার পক্ষে নেমেছেন,তারা চট্টগ্রামবাসীর শত্রু হিসেবে চিহ্নিত হবেন।

আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই,জনগণের সংগঠিত আন্দোলনের সামনে সকল মিথ্যাচার,হুমকি,মুনাফালোভী মাফিয়া সিন্ডিকেটের তৎপরতার পরাজয় হবেই হবে।সিআরবিতে হাসপাতাল ও কোন স্থাপনা নির্মাণের সমস্ত অপচেষ্টা আমরা গুঁড়িয়ে দেব।জনগণের জয় হবেই!”বক্তারা আরো বলেন,চট্টগ্রামকে বাসযোগ্য ও পরিকল্পিত নগর হিসেবে গড়ে তুলতে ১৯৯৫ সালে জাতিসংঘের সহায়তায় সিডিএর মাস্টার প্ল্যানে সিআরবি এলাকাকে “স্ট্রেটেজিক ওপেন স্পেস” হিসেবে চিহ্নিত করে। মাস্টার প্ল্যানের আলোকে সিডিএ “ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান(ড্যাপ)” প্রণয়ন করে। ২০০৯ সালে যা প্রজ্ঞাপন জারি হয়। ড্যাপ – এ সিআরবি-কে “সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য” হিসেবে সংরক্ষণের কথা বলা আছে।প্রজ্ঞাপন জারির পরও ডিটেইল এরিয়া প্ল্যানকে বিবেচনায় না নিয়ে ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষের সাথে রেলের এ চুক্তি শুধু আইনগতভাবে অবৈধ তাই নয়,ঘোরতর অপরাধ।

সংবিানের ১৮ক অনুচ্ছেদে প্রাকৃতিক সম্পদ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, ২৪ অনুচ্ছেদে বিশেষ শৈল্পিক কিংবা ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন বা তাৎপর্যমন্ডিত স্মৃতিনিদর্শন, বস্তু বা স্থান-সমূহকে বিকৃতি বা অপসারণ হতে রক্ষা করার জন্য রাষ্ট্রের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।ফলে ইউনাইটেডের সাথে রেলের এ চুক্তি সম্পূর্ণ সংবিধানবিরোধী।

অবিলম্বে এ চুক্তি বাতিল করতে হবে।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নাগরীক সমাজ চট্টগ্রামের সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান খান, চবি শিক্ষক হোসাইন কবির, ১৪ দল নেতস বেলায়েত হোসেন, অ্যাডভোকেট অনুপম চক্রবতী, অ্যাডভোকেট বিশ্বজিৎ, অ্যাডভোকেট মিলি চৌধুরী,স্বপন মজুমদার, প্রনব চৌধুরী, চৌধুরী জসিম, অ্যাডভোকেট আবদুল আল মামুন, অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন, অ্যাডভোকেট রাশেদুল আলম রাশেদ, অ্যাডভোকেট রুবেল পাল, অ্যাডভোকেট আকরাম হোসেন, অ্যাডভোকেট জাফর ইকবাল, অ্যাডভোকেট টিপু সুলতান, অ্যাডভোকেট হাসান মুরাদ,অ্যাডভোকেট এডিএম আরুছ রাসেল, অ্যাডভোকেট সরকার আখতারুজ্জামান রুমেল,অ্যাডভোকেট আবু নাসের, অ্যাডভোকেট রায়হান শাহরিয়ার, অ্যাডভোকেট গাজী ইরফান, নারী নেত্রী হাসিনা আকতার টুনু, আফরোজা, দিলরুবা খানম, ফারহানা রবিউল লিজা, অ্যাডভোকেট রোকসানা আক্তার, অ্যাডভোকেট নিশো আকতার, অ্যাডভোকেট কামরুল আজম চৌধুরী টিপু, অ্যাডভোকেট কায়সার আহমেদ, হুমায়ুন কবির মাসুদ, অ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন জিকো,ছাত্রনেতা মাহামুদুর করিম, আনোয়ার হোসেন পলাশ,সাজ্জাদ হোসেন জাফর, মাইমুন উদ্দিন মামুন, অ্যাডভোকেট অনিবার্ণ দত্ত, অ্যাডভোকেট জায়দিদ, অ্যাডভোকেট কৌশিক, অ্যাডভোকেট এস গণি ফরহাদ প্রমুখ।