৩ দিন ধরে বাংলাবাজার ঘাট অচল কর্ণফুলীর মাঝিদের অবস্থান ধর্মঘটে

কর্ণফুলী প্রতিনিধি :

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর সাম্পান মাঝিরা বাড়তি মাশুল আদায়ের প্রতিবাদ জানিয়ে অনিদিষ্ট কালের অবস্থান ধর্মঘট ও অনশন পালন করছে । বৈঠা বর্জন করে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করাতে ৩ দিন যাবত অচল অবস্থা বিরাজ করছে বাংলাবাজার ঘাটে। বন্ধ রয়েছে যাত্রী পারাপারও। এতে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ঘাট দিয়ে পারাপার হওয়া শ্রমজীবী মানুষ ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী সহ যাত্রী সাধারণের।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ঘাটে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ধর্মঘট শুরু করে সাম্পান পরিচালনা পরিষদ। মঙ্গলবারও ধর্মঘট অব্যাহত ছিল।

কর্ণফুলী ইছানগর বাংলাবাজার ঘাট সাম্পান মালিক সমিতির সভাপতি মো. লোকমান বলেন, সিটি কর্পোরেশন ঘাট ইজারা না দিয়ে বাড়তি টাকা আদায় করছে। এটি বন্ধ করতে সিটি কর্পোরেশনকে চিঠি দেওয়ার পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এটার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।

আন্দোলনরত সাম্পান মাঝি আবদুল মান্নান বলেন, কর্ণফূলি নদীর তীরে থাকা বাকি ঘাট গুলোতে পারপারের জন্য ১০ টাকা করে ভাড়া নেয়া হয়। কিন্ত বাংলাবাজার ঘাটে বাপ্পি নামে তথাকাথিত এক ব্যাক্তি নিজেকে সিটি কর্পোরেশনের ইজারাদার দাবি করে ১৫ টাকা করে ভাড়া নিতে বাধ্য করে তাদের। তবে সিটি কর্পোরেশন থেকে ঘাটটি কাউকে ইজারা দেয়নি। এতে ভুয়া এ ইজারাদারের কারনে নদী পারাপারে যাত্রীদের সাথে ভাড়া নিয়ে নিয়মিত বাকবিতন্ডতা হয় আমাদের।

সাম্পান মাঝিদের দাবী, চট্টগ্রামের কর্ণফুলি নদী তীরে ১৮ টি ঘাটে যাত্রী প্রতি ১০ টাকা ভাড়া থেকে ১ টাকা মাশুল আদায় করে ইজারাদার। কিন্ত বাংলাবাজার ঘাট কাউকে ইজারা দেয়নি সিটি কর্পোরেশন। অথচ প্রভাব খাটিয়ে যাত্রী প্রতি ৫ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে স্থানীয় একটি চক্র।

অপর সাম্পান চালক মো:মনির বলেন, বাংলাবাজার ঘাট সিটি কর্পোরেশন থেকে কাউকে ইজারা না দিলেও কর্পোরেশনের অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে প্রভাব খাটিয়ে একটি চক্র চাঁদাবাজি করছে। তাই এসব চাঁদাবাজ থেকে মুক্তি পেতে আমরা টানা আন্দোলন করছি। আমাদের দাবি না মানা অবধি আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

এই ঘাটে সাম্পানে নিয়মিত নদী পারপার হওয়া স্থানীয় যাত্রী শফিক আহমেদ বলেন, কর্ণফুলি নদীতে যাত্রী পারাপারে চলা এসব সাম্পানের ঘাট নিয়ম অনুযায়ী ইজারা না দেয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। তাই নিদিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন না করলে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী সাম্পান এক সময় হারিয়ে যেতে পারে।