৪র্থ স্ত্রীকে হত্যা করতে সোহাইলকে সহযোগিতা করে ৩য় স্ত্রী: অবশেষে গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক :

চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর রহমানবাগ আবাসিক এলাকায় অজ্ঞাত নারীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাওয়া গেছে নিহত নারীর পরিচয় সহ হত্যা কান্ডের মূল রহস্য।

মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) সকাল এগারটায় উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) এর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান উপ-পুলিশ কমিশনার আবদুল ওয়ারিশ।

বাগেরহাট থেকে সোহাইল আহমেদ (৪০) ও তার ৩য় স্ত্রী নাহিদা আক্তার (২২) কে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, গত বছরের ২১ জুলাই হালিশহর রহমানবাগ আবাসিক এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে মুখ বিকৃত অবস্থায় ২৫ বছর বয়সী এক মহিলার লাশ উদ্ধার করা হয়।

বাসা ভাড়া নেওয়ার সময় ওই নারীর স্বামীর দেওয়া জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ছাড়া কোন ক্লু ছিল না পুলিশের কাছে।

লাশ উদ্ধারের পর থেকেই স্বামীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সে একের পর এক সিম বদলিয়ে পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিতে থাকে।

দীর্ঘ এক বছর পর অজ্ঞাত সেই নারীর স্বামীকে শনাক্ত করে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বাগেরহাটের মংলা থেকে গ্রেফতার করে। তার দেওয়া তথ্য অনুসারে তৃতীয় স্ত্রীকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে আটক করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, নিহত লীকী আক্তার পতেঙ্গা থানার ডুরিয়া পাড়া এলাকার মনিরের বাড়ির মোহাম্মদ হোসেনের মেয়ে। গার্মেন্টসে চাকরির সুবাদে সোহাইলের সাথে পরিচয় হলে তারা ২০২০ সালে বিয়ে করে হালিশহরের বাসায় থাকতে শুরু করে। চতুর্থ স্ত্রীর চাল চলনে সন্দেহ হওয়ায় তাকে হত্যা করে। ঘটনায় সময় তার তৃতীয় স্ত্রী নাহিদা উপস্থিত ছিল বলে জানায় আসামি সোহাইল।

গ্রেপ্তারকৃত সোহাইল এবং নাহিদা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানান সিএমপির অতিরিক্ত উপ কমিশনার (পশ্চিম) পঙ্কজ দত্ত।