গোলাগুলি, প্রাণহানি ও ভোটার খরার মধ্য দিয়ে শেষ হল চসিক নির্বাচন

চট্টলা ডেস্কঃ ভোটকেন্দ্র দখল নিতে প্রকাশ্যে গোলাগুলি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ-সহিংসতা, প্রাণহানি, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ভাঙচুর, বর্জনসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ও ভোটার খরার মধ্য দিয়ে শেষ হলো চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ। বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়। প্রথমবারের মতো পুরো নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয়েছে ইভিএমের মাধ্যমে। এখন চলছে ভোট গণনা।

বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগ তোলা হলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তরফ থেকে ভোটকে উৎসবমুখর বলা হচ্ছে। নির্বাচনী কর্মকর্তারাও বলেন, ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে।

সকাল ৯টায় নগরের বহদ্দারহাট এখলাছুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী। অপরদিকে সকাল ১০টার দিকে বাকলিয়া টিচার্স ট্রেনিং কলেজের প্রশাসনিক ভবন কেন্দ্রে ভোট দেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন।

এদিকে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুইজন নিহত ও ৩২ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের একটি ভোটকেন্দ্রের সামনে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নগরের পাহাড়তলীর বার কোয়ার্টার এলাকায় বড় ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে নিহত হন মো. নিজাম উদ্দীন।

চসিক নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ১৯ লাখ ১৭ হাজার ৯৭৮। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৭২৩ ও নারী ভোটার ৯ লাখ ৫২ হাজার ৩২৯। মেয়র পদে মোট প্রার্থী ছিলেন সাতজন। ৩৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামেন ১৬৯ জন। প্রার্থীর মৃত্যুসহ বিশেষ কারণে বাকি দুই ওয়ার্ডে ওই পদে নির্বাচন হচ্ছে না। সংরক্ষিত ১৪টি ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে নামেন ৫৭ জন।