চট্টগ্রামে নির্বাচনী সংঘাত শুরু, নিহত ১

চট্টলা ডেস্কঃ মহামারী করোনার কারণে স্থগিত হওয়া চসিক নির্বাচনের সম্ভাব্য নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয় ২৭ শে জানুয়ারি । বর্তমানে চলছে জমজমাট নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা। এরমধ্যে নির্বাচনী যুদ্ধে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও বিদ্রোহী দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

চট্টগ্রাম নগরীর পাঠানটুলিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ৮ ঘটিকার সময় এই ঘটনা ঘটে, আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। নগরীর ২৮ নম্বর পাঠানটুলি ওয়ার্ডের মোগলটুলি মগপুকুরপাড় এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে ডবলমুরিং থানার ওসি সদীপ কুমার দাশ নিশ্চিত করেন ।

সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আজগর আলী বাবুল (৫৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং মাহবুব নামের আরেকজন গুলিবিদ্ধ হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুরের সমর্থকদের সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল কাদেরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে বাবুল নিহত এবং মাহবুব আহত হয়েছেন।

২৮ নম্বর ওয়ার্ডের গতবারের কাউন্সিলর আব্দুল কাদের, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছিরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। এবার দল তাকে মনোনয়ন না দিয়ে বাহাদুরকে মনোনয়ন দেয়।

অন্যদিকে নজরুল ইসলাম বাহাদুর শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী বলে জানা গেছে, তিনি ও গত ২০০০ থেকে ২০১৪ সাল নাগাদ কাউন্সিলর ছিলেন।

নিহত বাবুল ও আহত মাহবুবকে নিজের কর্মী দাবি করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুর বলেন অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান।

আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুর গনকণ্ঠকে বলেছেন, নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন এবং রাতে ঐ এলাকায় আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসে বসেছিলেন। সেখান থেকে নজিরভান্ডার লেইনে প্রচারণায় গেলে সেখানে কাদেরের উপস্থিতিতে অনুসারীরা তাদের ওপর অতর্কিত হামলা।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল কাদেরসহ ২৬জন নেতা-কর্মীসহ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।