প্রতিপক্ষের গুলিতে আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত, আসামি গ্রেফতার

চট্টলা ডেস্কঃ চসিক নির্বাচনে প্রতিপক্ষের গুলিতে আওয়ামী লীগ কর্মী নিহতের ঘটনায় বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীর কর্মী ও পলাতক আসামি দেলোয়ার রশিদকে (৪২) গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। রোববার (১৭ জানুয়ারি) রাতে নগরের চকবাজার থানার কাপাসগোলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে র‌্যাব।গ্রেফতার দেলোয়ার রশিদ ডবলমুরিং থানার মফিজুল হকের ছেলে। তিনি আজগর আলী বাবুল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।

র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার জানান, ১২ জানুয়ারি রাতে ২৮ নম্বর পাঠানটুলি ওয়ার্ডের মগপুকুর পাড় এলাকায় মো. আজগর আলী বাবুল (৫৫) নামে একজন মারা যান। ওইদিন রাতেই নিহত আজগর আলী বাবুলের ছেলে সিজান মোহাম্মদ সেতু বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটির ছায়া তদন্ত করছিল র‌্যাব-৭। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাতে চকবাজার থানার কাপাসগোলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই মামলার আসামি দেলোয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

নূরুল আবছার আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দেলোয়ার রশিদ আজগর আলী বাবুল হত্যার সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছে।

১২ জানুয়ারি রাতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুর এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল কাদেরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আজগর আলী বাবুল (৫৫) নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মী মারা যান। ঘটনার পর নজরুল ইসলাম বাহাদুর নিহত বাবুলকে নিজের কর্মী হিসেবে দাবি করেন। ওই রাতেই বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল কাদেরসহ ২৬ জনকে আটক করে পুলিশ।

নিহত বাবুলের ছেলে সেজান মাহমুদ সেতু বাদি হয়ে ডবলমুরিং থানায় বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী মো. আবদুল কাদেরকে প্রধান আসামি করে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এছাড়া আরও ৩০-৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। পরে কাউন্সিলর প্রার্থী মো. আবদুল কাদেরসহ ১১ জনকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। তাদের ১০ দিন রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত সবার ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।