ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ বন্ধ করতে জনসচেতনতার বিকল্প কিছুই নেই: পুলিশ সুপার

নগর প্রতিবেদক :

সম্প্রতিক সময়ে চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের প্রবণতা রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করে পাথর নিক্ষেপ বন্ধে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন রেলওয়ে চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী।

বুধবার (১৩ অক্টোবর) দুপুর ১২ টায় নগরীর টাইগারপাসে অবস্থিত রেলওয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ রেলওয়ে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, একটি দুর্ঘটনা মানে সারা জীবনের কান্না। সম্প্রতি সময়ে চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের প্রবণতা বেড়েছে। রেল লাইনের পাশে বসবাসকারি মানুষ অসচেতনতা ও মজার ছলে বা খেলার ছলে পাথর নিক্ষেপ করে থাকে। এতে মারাত্মক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয় । এমন দুর্ঘটনায় পড়তে পারে কারো মা, কারো বাবা আবার কারো ভাই-বোন। আর এমন একটি দুর্ঘটনায় একটি পরিবারের হতে পারে অপূরণীয় ক্ষতি। তাই চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ রোধ করতে জনসচেতনতার বিকল্প নেই।

সবার প্রতি বিশেষ অনুরোধ করে মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, পাথর নিক্ষেপের মত ঘৃন্য কাজটি বন্ধের জন্য সবাইকে এগিয়ে এসে সচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে পাথর বন্ধে সহায়তা করুন। কেউ পাথর নিক্ষেপ করলে তাকে শনাক্ত বা চিহ্নিত করে পুলিশের কাছে সর্পোদ করুন।চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ একটি অপরাধ উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানের অপরাধের ক্ষেত্রে অভিভাবকের শাস্তির বিধানের কথা তুলে ধরা হয়।

এ সময় গত (৭/১০/২০২১) তারিখে ফাজিলপুর রেলওয়ে স্টেশনের পশ্চিম আউটারে সকালে সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় পাথর নিক্ষেপকারী আজিজ (৮) নামে এক শিশুকে শনাক্ত করে তার পিতা জিয়াউল হক(৪২) কে আদালতের মাধম্যে শাস্তির আওতায় আনার কথা তুলে ধরেন।

মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, সভাগুলোর মাধ্যমে অভিভাবকরা যেন তাদের সন্তানদের পাথর নিক্ষেপের কুফল সম্পর্কে বর্ণনা করেন, স্কুলের শিক্ষকগণ পাঠদানের সময় ছাত্রছাত্রীদের পাথর নিক্ষেপের কুফল সম্পর্কে বর্ণনা করেন তার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

সর্বোপরি রেললাইনের পাশে বসবাসকারীরা যাতে নিজেরা সচেতন হন এবং তাদের সন্তানদের সচেতন করেন সে বিষয়ে অনুরোধ করা হচ্ছে।

জনসচেতন সৃষ্টির লক্ষ্যে ৯টি জোনকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই সকল স্থানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্কুলের শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীসহ স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও বিভিন্ন এলাকার জনসাধারণকে নিয়ে জনসচেতনতামুলক সভা করা হচ্ছে।

ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার আওতাধীন বাড়বকুণ্ড রেলওয়ে স্টেশন, ভাটিয়ারী রেলওয়ে স্টেশন, ফৌজদারহাট রেলওয়ে স্টেশন, পাহাড়তলী রেলওয়ে স্টেশন, কুমিরা রেলওয়ে স্টেশন বারৈয়াঢালা রেলওয়ে স্টেশন, ফুলতলা রেলওয়ে এলাকা, লাকসাম রেলওয়ে থানার আওতাধীন আলীস্বর রেলওয়ে স্টেশন, ময়নামতি রেলওয়ে স্টেশন, গুনটি ব্রীজ এলাকা, শশীদল রেলওয়ে স্টেশন,ফাজিলপুর রেলওয়ে স্টেশন, লাকসাম রেলওয়ে স্টেশন, লালমাই রেলওয়ে স্টেশনে জনসচেতনতামুলক সভা করা হয়েছে।