![](https://chattalatv.com/wp-content/uploads/2021/08/images-6-2021-08-21T214749.647.jpeg)
![](https://chattalatv.com/wp-content/uploads/2021/08/images-6-2021-08-21T214749.647.jpeg)
বিনোদন ডেস্ক :
কত নামে, কত উপনামে, কত বিশষণে বিশেষায়িত বাংলা সিনেমার প্রাণপুরুষ নায়ক রাজ রাজ্জাক। সব বাঁধন ছেড়ে আজ থেকে চার বছর আগে ২০১৭ সালে ২১ আগস্ট না ফেরার দেশে চলে গেলেন সিনেমা ভুবনের মহানায়ক। আজ তার ৪র্থ মৃত্যু বার্ষিকী।
দীর্ঘ পঞ্চাশের বছরের চলচ্চিত্রে অভিনয় জীবন তার। তার পুরো নাম ছিল আব্দুর রাজ্জাক। চলচ্ছিত্রে তিনি শুধু রাজ্জাক বলেই আবির্ভূত হন। চলচ্চিত্রের পথচলায় একের পর এক সাফল্যকে মুঠোবন্দি করতে করতে একসময় তিনি হয়ে ওঠেন অনন্য এক মানুষ। তার অভিনয়ের ঔজ্জ্বল্যে তিনি হয়ে উঠেছিলেন কিংবদন্তি। অভাবনীয় সাফল্যের গুণে তিনি ভূষিত হন ‘নায়করাজ’ উপাধিতে।
রাজ্জাক ১৯৪২ সালের ২৩শে জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ কলকাতার টালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আকবর হোসেন ও মাতার নাম নিসারুননেছা। রাজ্জাকের পরিবার ছিল নাকতলা এলাকার জমিদার। তিনি কলকাতার বাশদ্রোণীর নিকটে খানপুর হাইস্কুলে পড়াশুনা করেন।
![](https://chattalatv.com/wp-content/uploads/2021/08/images-6-2021-08-21T214801.690.jpeg)
![](https://chattalatv.com/wp-content/uploads/2021/08/images-6-2021-08-21T214801.690.jpeg)
অভিনয়ের জন্যই তিনি জন্মে ছিলেন বলেই হয়তো সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময়েই শিশু-কিশোরদের নিয়ে লেখা মঞ্চ নাটকে বিদ্রোহীতে গ্রামীণ কিশোর চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়েই নায়ক রাজের অভিনয়ে পথচলা শুরু হয়েছিল। ১৯৬৬ সালে ‘বেহুলা’ ছবি দিয়ে চলচ্চিত্রে পদার্পণ করেন তিনি। সুপারহিট ব্যবসা করে ছবিটি এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি নায়ক রাজকে। বেহুলার পরের যা হয়েছে সবই ইতিহাস। একে একে গড়েছেন রেকর্ড। আবার নিজের রেকর্ড নিজেই ভেঙেছেন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে মোট ১৮ জন নায়িকার বিপরীতে অভিনয় করেছেন তিনি। সবচেয়ে বেশি অভিনয় করেছেন নায়িকা শাবানার বিপরীতে ৪০টি ছবিতে। এ তালিকায় দ্বিতীয় হচ্ছেন ববিতা। তার সঙ্গে অভিনীত ছবির সংখ্যা ৩৯টি।
রাজ্জাক ১৯৯০ সাল পর্যন্ত নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। নায়ক হিসেবে তার অভিনীত শেষ ছবি ‘মালামতি’। এতে নায়িকা ছিলেন নূতন। নায়ক চরিত্রের বাইরে তিনি অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় শুরু করেন ১৯৯৫ সাল থেকে।নায়িকা কবরীর সঙ্গে তৈরি হয়েছিল নায়ক রাজের সবচেয়ে জনপ্রিয় জুটি। সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘আবির্ভাব’ ছবিতে রাজ্জাক-কবরী জুটিকে দর্শক পর্দায় প্রথম দেখেন। পরিচালক হিসেবেও তিনি ছিলেন সফল।
১৯৮৯ সালে রাজ্জাক ‘জ্বীনের বাদশা’ চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন। এই ছবিতে অভিনয় করেন তার বড় পুত্র বাপ্পারাজ। ছবিটি একটি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে। এই দশকে তার পরিচালিত অন্যান্য চলচ্চিত্রগুলো হল প্রফেসর (১৯৯২), বাবা কেন চাকর (১৯৯৭), উত্তর ফাল্গুনী (১৯৯৭)।
![](https://chattalatv.com/wp-content/uploads/2021/08/images-6-2021-08-21T214807.690.jpeg)
![](https://chattalatv.com/wp-content/uploads/2021/08/images-6-2021-08-21T214807.690.jpeg)
তার সর্বশেষ পরিচালিত চলচ্চিত্র ২০১৪ সালে ‘আয়না কাহিনি’। তার অভিনীত সর্বশেষ চলচ্চিত্র ২০১৪ সালে ‘কার্তুজ’। মৃত্যুর আগের কয়েক বছর চলচ্চিত্রের কাজ কমিয়ে দিয়ে এ অভিনেতা নিজেকে ব্যস্ত রেখেছিলেন টিভি নাটক কিংবা টেলিফিল্মের সঙ্গে। বিশেষ করে ছেলে সম্রাটের নির্মাণে বেশ কয়েকটি টিভি নাটকে কাজ করেন তিনি। আর মাঝে-মধ্যে বিভিন্ন টিভি অনুষ্ঠানে অংশ নিতেন।
রাজ্জাক ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট সন্ধ্যা ৬:১৩ মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপতালে মৃত্যুবরণ করেন কালজয়ী এ অভিনেতা। ২৩ আগস্ট তাকে বনানী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। কিংবদন্তি এই অভিনেতার প্রতি চট্টলা পক্ষ থেকে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি ।