চট্টলা ডেস্ক :
বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যের খল নায়কদের ভূমিকা উন্মোচিত হবে শিগগিরই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৬ আগষ্ট সোমবার বিকেলে আওয়ামী লীগের জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার নীলনকশা তৈরি হয়েছিল বাহাত্তুরেই। সে সময়ের পত্র-পত্রিকা পড়লেই বোঝা যাবে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের দোসর কারা ছিলো।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগ।
সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যার পূর্বাপরের নানা বিষয় উঠে আসে দলের নেতাদের বক্তব্যে। সভায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে যখন জাতির পিতা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখনই পরাজিত শক্তি নানা চক্রান্ত করতে থাকে। পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে ঘাতকেরা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার জীবনের কোনো মায়া নেই। আমার কিছু চাওয়ার নেই। আমার একটাই চাওয়া, যে আদর্শ নিয়ে আমার বাবা এদেশ স্বাধীন করেছেন, তার সেই আদর্শ বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছে দেব। এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা।মৃত্যুতে সামনাসামনি দেখেছি। কিন্তু কোনোদিন আমি ভীত হইনি, আমি ভীত হব না। কারণ আমি প্রস্তুত। আমি তো জানি, যে কোনো মুহুর্তে আমাকে চলে যেতে হবে। যতটুকু সময় আছে দেশের জন্য কতটুকু করতে পারি। সেইটুকুই আমি চাই। এদেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে আমার বাবা, মা, ভাইয়ের আত্মা যেন শান্তি পায়, সেটাই আমি চাই।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্র প্রস্তুতে কাদের ইন্ধন ছিল সে সময়ের সংবাদপত্রে তার প্রমাণ রয়েছে। মৃত্যুর ভয়ে ভিত নন, জানিয়ে সততার সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় জানান বঙ্গবন্ধু কন্যা।