চট্টলা ডেস্কঃ রোমে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে ফেসবুকে পাসপোর্ট সেবার জন্য অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট প্রদান কার্যক্রম সরাসরি প্রচার করেছে। ১২ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) ৯টা ৫০মিনিট থেকে সরাসরি প্রচারিত এ অনুষ্ঠানে রোমে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতাদের, প্রিন্ট ও টিভি মিডিয়ার সাংবাদিক এবং বিপুল সংখ্যক অনলাইন দর্শকের পাশাপাশি দূতাবাসে উপস্থিত অ্যাপয়েন্টমেন্ট গ্রহণকারী সেবা-প্রত্যাশীরাও অংশ নেন।
১৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার রোমের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। রোমে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান তার সূচনা বক্তব্যে আমন্ত্রিত উপস্থিত ও অনলাইনের সব অতিথিকে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, অ্যাপয়েন্টমেন্ট অবমুক্তকরণ কার্যক্রম সরাসরি প্রচারের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও কারিগরি বিষয়টি তুলে ধরে এ বিষয়ে সবার মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো এবং এক্ষেত্রে সম্ভাব্য ভ্রান্ত-ধারণা নিরসন এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য।
আরও বলেন, বাংলাদেশ দূতাবাস প্রধানমন্ত্রীর ‘প্রবাসী-বান্ধব’ নীতি অনুসরণ করে নিরলসভাবে ইতালি, মন্টেনিগ্রো ও সার্বিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, দূতাবাস প্রবাসীদের কল্যাণে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ১৩ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি ছুটির দিনে পাসপোর্ট বিতরণ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
এ সময় দূতাবাসের পাসপোর্ট ও ভিসা উইংয়ের প্রথম সচিব শেখ সালেহ আহাম্মেদ অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়ার বিভিন্ন কারিগরি দিক সম্পর্কে সাংবাদিকসহ উপস্থিত অতিথিদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। সরাসরি প্রচারিত এ কার্যক্রমের মাধ্যমে ০১-৩০ এপ্রিল ২০২১ পর্যন্ত সময়ের জন্য প্রায় দুই হাজার অ্যাপয়েন্টমেন্ট অনলাইনে অবমুক্ত করা হয়।
উল্লেখ্য বাংলাদেশ দূতাবাস, রোম পাসপোর্ট, ভিসা, সার্টিফিকেটসহ সব ধরনের কন্স্যুলার সেবা অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্টের মাধ্যমে দিয়ে থাকে। প্রতি শুক্রবার সকাল ১০টায় এই অ্যাপয়েন্টমেন্ট সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। গত বছর ডিসেম্বরে শুরু থেকে দূতাবাস প্রতি শুক্রবার দূতাবাসে উপস্থিত সেবা-প্রত্যাশীদের উপস্থিতিতে প্রজেক্টরের মাধ্যমে অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্ট প্রদান কার্যক্রম সরাসরি প্রদর্শন করে আসছে।
এবারই প্রথম ফেসবুকের মাধ্যমে অ্যাপয়েন্টমেন্ট প্রদান কার্যক্রম সরাসরি প্রচার করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত সামাজিক-রাজনৈতিক নেতা ও সাংবাদিকসহ সবাই অ্যাপয়েন্টমেন্ট প্রদান প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও কারগরি বিষয়টি সাধারণের কাছে সহজভাবে তুলে ধরার জন্য দূতাবাসের এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে স্বাগত জানান। উল্লেখ্য এসময় নিয়মিত কন্স্যুলার ও পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রমও অব্যাহত ছিল।