![](https://chattalatv.com/wp-content/uploads/2022/01/PicsArt_01-31-08.05.58.jpg)
![](https://chattalatv.com/wp-content/uploads/2022/01/PicsArt_01-31-08.05.58.jpg)
ডেস্ক রিপোর্ট :
চট্টগ্রাম নগরের বারেক বিল্ডিং থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত সড়কের নামকরণ হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে করার প্রস্তাব করেছে সিটি কর্পোরেশন।
রোববার (৩০ জানুয়ারি) চসিকের ১২তম সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সড়কের নামকরণের প্রস্তাব রাখেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
এ সড়কের নামকরণ প্রধানমন্ত্রীর নামে করার কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নের জন্য নানান সময় দু হাত উজাড় করে প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এ প্রস্তাব রাখেন সিটি মেয়র।
এর আগে সভার প্রথমদিকে সল্ট গোলা ক্রসিং থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত সড়কের নাম প্রধানমন্ত্রীর নামে রাখার প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু আগে থেকে দেওয়ানহাট রোড থেকে বারেক বিল্ডিং পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর নামে সড়কের নামকরণ করা আছে। তাই তারপরের এলাকা থেকে প্রধানমন্ত্রীর নামে নামকরণের প্রস্তাব করেন মেয়র।সভায় মেয়র বলেন, বিভিন্ন সময় বড় বড় প্রকল্প দিয়ে চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায় দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী নিজ কাঁধে তুলে নিয়েছেন। কিন্তু আমরা তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি নাই। উনার কাজের স্বীকৃতিস্বরুপ, চট্টগ্রামের প্রতি অগাধ ভালোবাসার নিদর্শনস্বরুপ আমরা চাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে সড়কটি হোক।
সভায় মেয়রের এ প্রস্তাবে উপস্থিত সবাই করোতালির মাধ্যমে সমর্থন জানান।
এদিকে, এ সিদ্ধান্ত চসিকের সাধারণ সভায় পাশ হলেও মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এ সংক্রান্ত চিঠি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সেখান থেকে অনুমোদন পেলে আগের সকল সাইনবোর্ড সরিয়ে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে সড়কের নামকরণ হবে। এর আগে গত ৬ জানুয়ারি চট্টগ্রামেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজস্ব কার্যালয় করার প্রস্তাবনা রাখা হচ্ছে বলে জানায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তবে চট্টগ্রাম নগরের এ সড়কটিই হবে প্রথম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে।
এছাড়াও চট্টগ্রাম নগরের পুরাতন রেলস্টেশন সংলগ্ন বাইশ মহল্লা চৈতন্যগলি কবরস্থানে বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম ঘোষণা পাঠকারী এম এ হান্নানের কবরে নামফলক বা স্মৃতিচিহ্ন না থাকার বিষয়টি উঠে আসে। সচেতন মহলের দাবি অনুযায়ী সেখানের সীমানা দেয়াল ভেঙে এম এ হান্নানের জীবনী নিয়ে তথ্য সম্বলিত ম্যুরাল বা নামফলক তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।