নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশের বৃহত্তম রানওয়ে সমৃদ্ধ আন্তজার্তিক বিমান বন্দর হতে চলেছে কক্সবাজার বিমান বন্দর। বিমানবন্দরের ১০ হাজার ৭০০ ফুট দৈর্ঘ্যের রানওয়ের মধ্যে ৭০০ ফুটই থাকবে সমুদ্রের মধ্যে। এটি নির্মিত হলে সাগরের ছুঁয়েই বিমান উঠা নামা করতে সক্ষম হবে।
রোববার (২৯ আগস্ট) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ কাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় ধানমন্ত্রী বলেন, ‘কক্সবাজারকে ঘিরে সরকারের আলাদা পরিকল্পনা রয়েছে। সিঙ্গাপুর, ব্যাংককের আদলে সাজানো হবে কক্সবাজারকে। ইকোট্যুরিজমের কাজ চলমান রয়েছে, রেললাইনও আসছে। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হলে দিন-রাত ফ্লাইট চলবে। এসব দৃশ্যমান হলেই কক্সবাজার বিশ্ব দরবারে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। ১৯৯৬ সালের পরের সরকার বঙ্গবন্ধুকে কটাক্ষ করত। যার কারণে কক্সবাজারকে ঘিরে তারা কিছুই করেনি। বরং তারা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। সেখান থেকে নতুন করে কক্সবাজারকে ঘিরে পরিকল্পনা হাতে নেই। আস্তে আস্তে সবই দৃশ্যমান হচ্ছে।’
কক্সবাজারকে আধুনিক পর্যটন শহর করার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে গড়ে উঠেছে দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ সড়ক। এটিকে চট্টগ্রামের মিরসরাই পর্যন্ত সম্প্রসারণের কাজ চলছে। রেললাইনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও পৌঁছে গেছে। এসব পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে কক্সবাজার- যেমনটা জাতির পিতা চেয়েছিলেন।’
ভিডিও কনফারেন্সে কক্সবাজার থেকে যুক্ত ছিলেন— বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, ট্যুরিস্ট পুলিশ চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোখলেছুর রহমান এবং কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ।
এর আগে শনিবার (২৮ আগস্ট) সকালে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মো. মফিদুর রহমান সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে এটি হবে দেশের বিমানবন্দরগুলোর সবচেয়ে বড় রানওয়ে। রানওয়ের ৭০০ ফুট থাকবে সমুদ্রের মধ্যে। প্রায় ১৭০০ ফুট সমুদ্রপৃষ্ঠ ভরাট করে কক্সবাজার বিমান বন্দরের রানওয়েকে সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। দেশে প্রথমবারের মত সমুদ্রপৃষ্ঠের ওপর নির্মিতব্য এ রানওয়ের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। যার পুরোটাই অর্থায়ন করছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এটিই হবে দেশের দীর্ঘতম রানওয়ে। বিমানবন্দরটি আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হলে কক্সবাজারের পর্যটন ও অর্থনৈতিক বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
