মঙ্গলবার সারাদেশে ধর্মঘট ডেকেছে রাইড শেয়ারের চালকেরা

চট্টলা ডেস্ক:

ছয় দফা দাবিতে আগামীকাল মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সারাদেশে ধর্মঘট ডেকেছে অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারের গাড়িচালকরা।

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা রাইডশেয়ারিং ড্রাইভারস ইউনিয়নের (ডিআরডিইউ) সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমেদ এ তথ্য জানান।

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে কোম্পানিগুলোর কমিশন ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে আনা, পুলিশি হয়রানি বন্ধ ইত্যাদি।‘

অ্যাপ বেইজড ড্রাইভারস ইউনিয়ন অভ বাংলাদেশ’ সংগঠনের ব্যনারে এই কর্মসচি আহ্বান করা হয়েছে। তারা ধর্মঘট করলে মঙ্গলবার উবার, পাঠাওয়ের মতো অ্যাপে গাড়ি কিংবা মোটরসাইকেল পেতে ভোগান্তিতে পড়তে হবে নগরবাসীকে।

ডিআরডিইউ’র সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, সম্মিলিত রাইডারস্ অব চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম রাইড শেয়ারিং ড্রাইভারস্ ইউনিয়ন, কোথায় যাবেন রাইড শেয়ারিং গ্রুপ সিলেট এই কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে।

তিনি বলেন, সব জায়গাতেই হয়রানির শিকার হচ্ছি আমরা। আমাদের কোথাও দাঁড়ানোর জায়গা নেই, দাঁড়াতে দেখলেই ট্রাফিক পুলিশ এমন জরিমানা করে, যা আমরা সাত দিনেও আয় করতে পারি না।

তিনি আরও বলেন, আমাদের গাড়ি, জ্বালানি ও শ্রমের বিনিময়ে যে টাকা পাই, তা থেকে আধুনিক কমিশন গ্রহণকারী কোম্পানিগুলো ২৫ শতাংশের বেশি কেড়ে নিচ্ছে। তার ওপর বিনা অজুহাতে অ্যাপ বন্ধ করে আমাদের করছে কর্মহীন। মাস শেষে ধার-দেনা করে করাতে হচ্ছে গাড়ির কাজ, আর বছর শেষে তুলতে হচ্ছে লোন। ফলে আমরা দিন দিন দেউলিয়া হচ্ছি।

এর আগে সোমবার রাজধানীর বাড্ডা লিংক রোড এলাকায় রাইড শেয়ারিং অ্যাপস পাঠাওয়ের শওকত আলম সোহেল নামে এক চালক ট্রাফিক পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ হয়ে নিজের মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন। দ্রুতই এই ঘটনা ভাইরাল হয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। পরে ওই চালককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

কর্মসূচি আহ্বানকারীদের ছয় দফার মধ্যে রয়েছে রাইড শেয়ারিং চালকদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান, রাইড শেয়ারিংয়ের কমিশন ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ, ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে রাইড শেয়ারিং যানবাহন দাঁড়ানোর জায়গা বরাদ্দ, পুলিশি হয়রানি বন্ধ, রাইড শেয়ারিংয়ে তালিকাভুক্ত যানবাহনগুলোকে অগ্রিম আয়করের বাইরে রাখা এবং গত বছর রাইড শেয়ারিং যানবাহনের কাছ থেকে আদায়কৃত অগ্রিম আয়কর মালিকদের ফেরত দেওয়া।