শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী স্ত্রীর কবরের পাশে সমাহিত করা হবে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীকে

ডেস্ক রিপোর্ট :

আব্দুল গাফফার চৌধুরীর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী রাজধানীর বনানীতে তার স্ত্রীর কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হবে। ইতোমধ্যেই যুক্তরাজ্যের হাইকমিশন বাংলাদেশের ও যুক্তরাজ্যের সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ বিষয়ে অবহিত করেছেন।

মহান একুশের অমর সংগীতের রচয়িতা আবদুল গাফফার চৌধুরী বৃহস্পতিবার (১৯ মে) স্থানীয় সময় সকাল ৬.৪৯ মিনিটে লন্ডনের একটি হাসপাতালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেন। আগামী (২৩ মে) সোমবার তার মরদেহ ঢাকায় পৌঁছাতে পারে। বিমান বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। তারা দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম জানিয়েছেন, আগামীকাল ব্রিকলেন মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে আলতাব আলী পার্কে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নেওয়া হবে মরদেহ।

আবদুল গাফফার চৌধুরী ১৯৩৪ সালের ১২ ডিসেম্বর বরিশালের উলানিয়ার চৌধুরী বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা হাজি ওয়াহিদ রেজা চৌধুরী ও মা মোসাম্মৎ জহুরা খাতুন। তিনি উলানিয়া জুনিয়র মাদ্রাসায় ক্লাস সিক্স পর্যন্ত লেখাপড়া করে হাইস্কুলে ভর্তি হন। ১৯৫০ সালে ম্যাট্রিক পাস করে ঢাকা কলেজে ভর্তি হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৮ সালে বিএ অনার্স পাস করেন।১৯৭৪ সালে আব্দুল গাফফার চৌধুরী লন্ডনে পাড়ি জমান। এরপর থেকে তার প্রবাস জীবন শুরু হয়। সেখানে ১৯৭৬ সালে তিনি ‘বাংলার ডাক’ নামে এক সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদনা করেন। আরও একাধিক পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত হন। প্রবাসে বসে গাফফার চৌধুরী বাংলাদেশের প্রধান পত্রিকাগুলোতে নিয়মিত লেখালেখি করতেন।

৭ বছর বয়সী গাফফার চৌধুরী ১৯৭৪ সালের অক্টোবর থে‌কে ব্রিটে‌নে বসবাস কর‌ছি‌লেন। তিনি বার্ধক্যজনিত নানা রো‌গে আক্রান্ত হ‌য়ে বেশ কিছু‌দিন ধ‌রে হাসপাতালে ছি‌লেন‌।

গাফফার চৌধুরীর ভাষা আন্দোলনের স্মরণীয় গান “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি” -এর রচয়িতা। স্বাধীনতা যুদ্ধে মুজিবনগর সরকারে মাধ্যমে নিবন্ধিত স্বাধীন বাংলার প্রথম পত্রিকা ‘সাপ্তাহিক জয় বাংলার’ প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক ছিলেন তিনি।

তিনি স্বাধীনতা পদক, একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পদক, ইউনেস্কো পদক, বঙ্গবন্ধু পুরস্কারসহ জাতীয় আন্তর্জাতিক অনেক পুরস্কার লাভ করেন।