চট্টলা ডেস্ক : আগামী সোমবার (১ মার্চ) থেকে দেশের সকল স্কুল-কলেজ খোলার জন্য পরিবেশ পর্যালোচনা করছে সরকার। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এ বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় পর্যালোচনা সভা হবে। সভায় বসবেন নীতি নির্ধারকরা। বৈঠক থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খুলছে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে কি সিদ্ধান্ত আসতে পারে- জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ পর্যালোচনা সভা আহ্বান করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী ১ মার্চ থেকে স্কুল-কলেজ খোলার জন্য পরিবেশ পর্যালোচনা করছে সরকার। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন ছাড়াও মন্ত্রিপরিষদ সচিব, দুই মন্ত্রণালয়ের সচিব ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।
জানা যায়, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সর্বশেষ দফায় রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এরপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে কিনা সে বিষেয়ে এখনো কিছু জানানো হয়নি।
এ পরিস্থিতির মধ্যেই স্কুল-কলেজ খোলার জন্য পরিবেশ পর্যালোচনা করতে নীতি নির্ধারকরা বৈঠকে বসছেন।
এদিকে আরো তিনমাস পর আগামী ২৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার কথা জানিয়েছে সরকার। এর আগে ১৭ মে থেকে খুলবে আবাসিক হল। তার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দেয়া হবে। দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদেরও ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে প্রায় চার লাখ ছয় হাজার ৪৬৯ জন শিক্ষক রয়েছে। আর কর্মচারীর সংখ্যা এক লাখ ৬২ হাজার ৮৬১ জন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রায় ১৫ হাজার ৫২৪ জন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রাথমিকে শিক্ষক আছেন ছয় লাখ ৮৫ হাজার ৪০০ জন। এরমধ্যে প্রাথমিকসহ অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা ইতোমধ্যে টিকা নেওয়া শুরু করেছেন।