চলে গেলেন প্রাণ পুরুষ বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী

ডেস্ক প্রতিবেদন:

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আর নেই।

“ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন”

রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি না ফেরার দেশে পারি জমিয়েছেন। জাফরুল্লাহ’র ঘনিষ্ঠ ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু এ মৃত্যু সংবাদ নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মঙ্গলবার রাতে ১১টা ১৫ মিনিটে তিনি ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে মারা গেছেন।মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছে মাত্র ৮১ বছর। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দীর্ঘদিন ধরেই কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন
শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় কয়েকদিন ধরে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল তাকে।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ ও ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রধান চিকিৎসক ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মামুন মোস্তাফী জানিয়েছেন, ‘ সবার প্রিয় বড়ভাই (ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী) আমাদের মাঝে আর নেই। আপনারা সবাই তার জন্য প্রাণভরে দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন তাকে বেহশত নসীব করেন।’

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ একই কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিকেলে উনাকে দেখতে গিয়েছিলাম। জানতে পেরেছি উনি মারা গেছেন।

এদিকে, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ঘোষণা করা হয়েছে, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রাণ পুরুষ, প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ১১ এপ্রিল (মঙ্গলবার) আনুমানিক রাত ১০:৪০ এ গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন।

এর আগে গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ জানান, আমি হাসপাতালে আছি। স্যার মারা গেছেন। ৮১ পার করে ৮২ বছর বয়সে এসে ডা. জাফরুল্লাহ কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন বহু বছর ধরে। কয়েক দিন আগে তার বার্ধক্যজনিত জটিলতাগুলো খারাপের দিকে যায়। এমন অবস্থায় তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তিনি বলেন, গত রোববার তার চিকিৎসায় একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। এর প্রধান সমন্বয়কারী ছিলেন অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মামুন মোস্তাফী।

উল্লেখ, ১৯৭১ সালে জাফরুল্লাহ চৌধুরী যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরে ভারতের আগরতলায় গেরিলা প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তিনি বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে তা পরিচালনা করেন।

মুক্তিযুদ্ধের পর সেই হাসপাতালের নামেই একটি প্রতিষ্ঠান গড়তে চেয়েছিলেন। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে আলোচনা করে নাম ঠিক করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

হাসপাতালের পাশাপাশি ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানিও গড়েছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ১৯৮২ সালে দেশে প্রথমবারের মতো ঔষধ নীতি প্রণয়নেও ভূমিকা ছিল ডা. জাফরুল্লাহ’র।