কক্সবাজার প্রতিনিধি :
কক্সবাজারে ‘আমারী রিসোর্ট’ নামের আবাসিক হোটেলে তরুণী হত্যার ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামি সাগরকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শুক্রবার (২৪সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে ঢাকার র্যাব-১০ এর একটি দল রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার সায়দাবাদ বাস স্ট্যান্ড এর টোল প্লাজার সামনে থেকে সাগর নামের সেই যুবককে গ্রেফতার করে। এসময় তার কাছে থাকা ভিকটিমের মোবাইল সহ তিনটি মোবাইল, নগদ ১৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক এএসপি এনায়েত কবির সোয়েব বলেন, সাগর কুখ্যাত ‘সিরিয়াল রেপিস্ট’। তার বিরুদ্ধে এর আগেও ধর্ষণের অভিযোগ আছে ।
শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় কারওয়ান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়।
র্যাব-১০ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, কক্সবাজারের সেই হোটেলে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ওঠার পর সেই নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে গ্রেফতারকৃত সাগর। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয় ধস্তাধস্তি এক পর্যায়ে সাগর ভিকটিমের গলা চেপে ধরে দেয়ালে ধাক্কা দিলে ওই নারী মেঝেতে পড়ে যায়। আঘাতের কারণে মৃত্যু হয় তার। পরে সে হোটেল থেকে পালিয়ে যায়।মাহফুজুর রহমান আরও বলেন, সাগর স্কুল-কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে। বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কৌশলে ধর্ষণ করতো সে। একাধিক নারীকে মিথ্যা প্রেমের ফাঁদে ফেলে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধ্য করেছে বলেও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়।
এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারে কলাতলী এলাকার ‘আমারী রিসোর্ট’র একটি কক্ষ থেকে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে ওই নারীর স্বামী পরিচয় দিয়ে হোটেলের কক্ষ ভাড়া নেওয়া তরুণ পলাতক রয়েছে। উদ্ধারের পর নাম পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়।
পুলিশ ও হোটেল কর্তৃপক্ষ জানায়, ১৮ সেপ্টেম্বর সকালে সাগর হোটেলের ১০৮ নম্বর কক্ষ ভাড়া নেন। দুই দিন পর ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ওই তরুণীকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে হোটেলে তোলেন তিনি। এরপর সাগর ১০৮ নম্বর কক্ষ ছেড়ে একই হোটেলের ৪০৮ নম্বর কক্ষে যান। ওই কক্ষেই তারা দু’জন অবস্থান করেন।
এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিপুল চন্দ্র দে জানান, সাগরসহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। মামলাটির তদন্ত করছে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ।