![](https://chattalatv.com/wp-content/uploads/2021/09/images-6-2021-09-20T132152.835.jpeg)
![](https://chattalatv.com/wp-content/uploads/2021/09/images-6-2021-09-20T132152.835.jpeg)
কক্সবাজার প্রতিনিধি:
চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত সেনাবাহিনীর অব. মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় তৃতীয় দফা সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ওসি প্রদীপসহ ১৫ আসামিকে ফের আদালতে হাজির করা হয়েছে।
সোমবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তাদের হাজির করা হয়।
আজ সকাল থেকে শুরু হওয়া সাক্ষ্যগ্রহণ ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।গত ৮ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফা সাক্ষ্যগ্রহণের শেষ দিনে ষষ্ঠ সাক্ষীর জেরা শেষে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল তৃতীয় দফার এ সাক্ষ্যগ্রহণের আদেশ দেন।
তৃতীয় দফার প্রথম দিনে তিন সাক্ষীর হাজিরা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম।
কিন্তু বিচারক আদালত মুলতবি ঘোষণা করায় এ দিন আর সাক্ষ্য নেওয়া হয়নি।পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদ বলেন, আমাদের প্রচেষ্টা সব সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা দ্রুত সম্পন্ন করার। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীগণের অসহযোগিতায় সেটি সম্ভব হয় না। তারা সাক্ষীকে অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করে সময় নষ্ট করেন। আর ১৫ আসামির ১৫ আইনজীবী আলাদাভাবে আধাঘণ্টা করে জেরার সময় নিয়ে সাড়ে সাত ঘণ্টা সময় লাগে। জবানবন্দি নিতেও সময় লাগে ঘণ্টা দেড়েক। এতে আদালতের কর্মঘণ্টা ৯ ঘণ্টা এবং মধ্যহ্ন বিরতিসহ দাঁড়ায় ১০ ঘণ্টা। ফলে একজনের বেশি সাক্ষ্যে আগানো সম্ভব হয়ে ওঠেনি। কিন্তু বিচারকার্যের সপ্তম দিনে স্বল্পসময়ে জবানবন্দি ও জেরা শেষ হওয়ায় তৃতীয় দফার ধার্য দিনেও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালতকে এভাবে সহযোগিতা করবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আদালতের সংশ্লিষ্ট আইনজীবী বাপ্পী শর্মা জানান, গত ২৩ আগস্ট শুরু হয় মেজর সিনহা হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম। সাক্ষ্যগ্রহণে আদালতের নির্ধারণ করা প্রথম তিন দিনের প্রথম দিন পুরো ও দ্বিতীয় দিনের অর্ধেক সময় মামলার বাদী নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন ফেরদৌসের সাক্ষ্য ও জেরা হয়। পরে শুরু হয় সিনহার সফরসঙ্গী ও হত্যার অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী সিফাতের সাক্ষ্য।এ দুজনের সাক্ষ্য ও জেরার মধ্য দিয়ে শেষ হয় বিচারকার্যের প্রথম নির্ধারিত তিন দিন। ফলে এ তিন দিনের জন্য নোটিশ পাওয়া ১৫ সাক্ষীর মাঝে বাকি ১৩ জনের সাক্ষ্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। তার সঙ্গে থাকা সাহেদুল ইসলাম সিফাতকে পুলিশ গ্রেফতার করে।এর পর সিনহা যেখানে ছিলেন, সেই নীলিমা রিসোর্টে ঢুকে তার ভিডিও দলের দুই সদস্য শিপ্রা দেবনাথ ও তাহসিন রিফাত নুরকে আটক করে। পরে তাহসিনকে ছেড়ে দিলেও শিপ্রা ও সিফাতকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এই দুজন পরে জামিনে মুক্তি পান।সিনহা হত্যার ঘটনায় মোট চারটি মামলা হয়। ঘটনার পর পরই পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। এর মধ্যে দুটি মামলা হয় টেকনাফ থানায়, একটি রামু থানায়। ঘটনার পাঁচ দিন পর অর্থাৎ ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। চারটি মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় র্যাব।