কক্সবাজার প্রতিনিধি:
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গত দুইদিনে উদ্ধার করা দু’জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির লাশের পরিচয় মিলেছে।
শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পাওয়া মরদেহটি রাফিক ঐশিকের (২৬) এবং শনিবার সকালে সৈকতে ভেসে আসা লাশটি মেহের ফারাবি অভ্রের (২৫)। তারা দুজনই যশোরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
এদিকে, এ ঘটনায় নিহতদের সঙ্গে আসা বাকী চার বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ওই চার বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কক্সবাজার সদর মডেল থানায় পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
থানা হেফাজতে নেওয়া চার বন্ধু হলেন— রোহান, মাসুদ, মুহিবুল ও ফারদিন। তারা নিহত রাফিক ও মেহের ফারাবি অভ্রের বন্ধু এবং তাদের সকলের বাড়ি যশোর কোতোয়ালি থানা এলাকায়। পলাতক থাকা আরেক বন্ধু আলিফ যশোরের নিজামপুর এলাকার মুবিন উদ্দিনের ছেলে।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) সৈয়দ মুরাদ ইসলাম জানান, সাত বন্ধু মিলে যশোর থেকে দু-তিন দিন আগে কক্সবাজার বেড়াতে আসে। তারা শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে বিচ হলিডে হোটেলে ওঠে। এরপর সকলেই বেরিয়ে পড়ে। যার মধ্যে দুই বন্ধু নিখোঁজ হয়। যাদের লাশ উদ্ধার হয়েছে। অন্য পাঁচজন রাতে হোটেলে ফিরে এসে সেখানে অবস্থান করে। তবে দুই বন্ধু নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি তারা পুলিশকে রিপোর্ট করেনি। তাই এ ঘটনায় চার বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সদর মডেল থানায় পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনীর উল গিয়াস জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে চার বন্ধুকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার পর সন্দেহভাজন আলিফ (২৪) পালিয়ে যান। পুলিশ তাকে খুঁজছে বলেও জানান তিনি।
