কেডিএস গ্রুপের অভিযোগের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন মুনির হোসেন

চট্টলা ডেস্কঃ দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান কেডিএস গ্রুপের ‘রোষানলে পড়ে’ মুনির হোসেন খান নামের প্রতিষ্ঠানটির সাবেক এক কর্মকর্তা একবছর জেল খাটার পর সম্প্রতি আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়েছেন। কোম্পানির ডিএমডির মাধ্যমে এক অপ্রীতিকর ও অন্যায় ঘটনার শিকার হয়ে চাকরি ছাড়ার কারণে কেডিএস গ্রুপ তার বিরুদ্ধে এক বছরে ২৬টি মামলা দায়ের করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি কেডিএস গ্রুপ তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করেছে সেগুলো মিথ্যা বলে জানান এবং তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ কেডিএস গ্রুপকে প্রমান করার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন।

প্রথমত, আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রথম মামলা ছিল গাড়ি চুরি ও হত্যা চেষ্টা মামলা। মামলাটি দাযের হয় বাযোজিদ থানায়। যা একটি সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলা। পুলিশ মামলাটির ফাইনাল রিপোর্ট আদালতে জমা দিয়েছে। ওই সময়ে আমি ছিলাম ঢাকায় আমেরিকান স্কুলে। দ্বিতীয়ত, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে এইচ আর কয়েল আমদানিতে আমি দুর্নীতি করেছি। গোপন চুক্তির মাধ্যমে নাকি আমি এইচ আর কয়েল আমদানিতে কমিশন নিয়েছি। এইভাবে নাকি আমি ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছি।

জামিনে মুক্ত হওয়ার পর কেডিএস গ্রুপ তাকে নতুনভাবে হয়রানি করছে ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে অভিযোগ করে মুনির হোসেন খান বলেন
নিত্য নতুন কৌশলে আমি এবং আমার পরিবারকে হয়রানি করেছে কেডিএস। আমার বাবা চট্টগ্রাম বন্দরের একজন অবসরপ্রাপ্ত হারবার মাষ্টার। চট্টগ্রামের বড়পুলে আমার বাবা একটি ভবন করেছেন তাও আমি কে ওয়াইষ্টিলে যোগদানের আগে। যার নাম ইসাবেলা টাওয়ার। আমার বাবার সারাজীবনের উপার্জন দিয়ে গড়া সেই ইসাবেলা টাওয়ারের দিকে কেডিএস এর নজর পড়েছে। তারা সম্প্রতি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলেছে আমার বাবা, ভাই এবং আমার কাছ থেকে কেউ যাতে কোন স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি না কিনে যা সম্পূর্ণ মানহানিকর এবং বেআইন। আমার পরিবার ও আমাকে নাজেহাল করার জন্য এসব বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন মুনির হোসেনের বাবা চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোয়াজ্জেম হোসেন খান ও পরিবারের অন্য সদস্যরা। মুনির চট্টগ্রামের সেন্টপ্লাসিডস স্কুল থেকে এসএসসি পাসের পর আমেরিকায় পড়ালেখা করেন। পরে আমেরিকার ফ্লোরিডায় ‘ব্যাংক অব আমেরিকায়’ সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে ২০০৬ সাল পর্যন্ত চাকরি করেন।