চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের জয়জয়কার

চট্টলা ডেস্কঃ নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে বুধবার অনুষ্ঠিত হয়ে গেল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন। বিগত কয়েকটি নির্বাচনের মতই এ নির্বাচনেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীদেরই জয়জয়কার। মেয়র থেকে শুরু করে কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে বিজয়ীদের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগ মনোনীত। তবে কয়েকটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়ে আগামী পাঁচ বছরের জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন তিন ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৮৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেন পেয়েছেন ৫২ হাজার ৪২৯ ভোট।

এদিকে, ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ। ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী তারেক সোলেমান সেলিমের মৃত্যুতে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। নতুন তফসিল অনুযায়ী ২৮ ফেব্রুয়ারি এই দুই ওয়ার্ডে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই দুই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ছাড়া অন্যান্য ওয়ার্ডগুলোর কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে নির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
সাধারণ ১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের গাজী শফিউল আজিম (ঘুড়ি)। ২ নম্বর জালালাবাদ ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন বিদ্রোহী সাহেদ ইকবাল বাবু (ঝুড়ি)। ৩ নম্বর পাঁচলাইশ ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী শফিকুল ইসলাম (মিষ্টি কুমড়া)। ৪ নম্বর চান্দগাঁও ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী এসরারুল হক (ঘুড়ি)। ৫ নম্বর মোহরা ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের কাজী নুরুল আমিন মামুন (ঘুড়ি)। ৬ নম্বর পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের এম আশরাফুল আলম (ঘুড়ি)। ৭ নম্বর পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মোবারক আলী (টিফিন ক্যারিয়ার)। ৮ নম্বর শুলকবহর ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মোরশেদ আলম (লাটিম)। ৯ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী জহুরুল আলম জসিম (মিষ্টি কুমড়া)। ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ (মিষ্টি কুমড়া)।
১১ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মো. ইসমাইল (টিফিন ক্যারিয়ার)। ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের নুরুল আমিন (রেডিও)। ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী (লাটিম)। ১৪ নম্বর লালখান বাজার ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের আবুল হাসনাত বেলাল (ঘুড়ি)। ১৫ নম্বর বাগমনিরাম ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের গিয়াস উদ্দীন (ঘুড়ি)। ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টু (ব্যাডমিন্টন র্যাকেট)। ১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ শহিদুল আলম (ঘুড়ি)। ১৯ নম্বর দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের নুরুল আলম (মিষ্টি কুমড়া)। ২০ নম্বর দেওয়ান বাজার ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী (ঠেলাগাড়ি)।
২১ নম্বর জামালখান ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের শৈবাল দাশ সুমন (ঠেলাগাড়ি)। ২২ নম্বর এনায়েত বাজার ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সলিম উল্লাহ বাচ্চু (ঘুড়ি)। ২৩ নম্বর উত্তর পাঠানটুলী ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ জাবেদ (মিষ্টি কুমড়া)। ২৪ নম্বর উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের নাজমুল হক ডিউক (ঠেলাগাড়ি)। ২৫ নম্বর রামপুর ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত আব্দুস সবুর লিটন (টিফিন ক্যারিয়ার)। ২৬ নম্বর উত্তর হালিশহর ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী মোহাম্মদ ইলিয়াস (ঘুড়ি)। ২৭ নম্বর দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন শেখ জাফরুল হায়দার চৌধুরী (লাটিম)। ২৮ নম্বর পাঠানটুলী ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের নজরুল ইসলাম বাহাদুর (রেডিও)। ২৯ নম্বর পশ্চিম মাদারবাড়ি ওয়ার্ডের নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের (রেডিও)। ৩০ নম্বর পূর্ব মাদারবাড়ি ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের আতাউল্লাহ চৌধুরী (ঘুড়ি)।
৩২ নম্বর আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত জহর লাল হাজারী (মিষ্টি কুমড়া)। ৩৩ নম্বর ফিরিঙ্গি বাজার ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী হাসান মুরাদ বিপ্লব (মিষ্টি কুমড়া)। ৩৪ নম্বর পাথরঘাটা ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের পুলক খাস্তগীর (ঠেলাগাড়ি)। ৩৫ নম্বর বক্সিরহাট ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছে আওয়ামী লীগের হাজী নুরুল হক (ঘুড়ি)। ৩৬ নম্বর গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী মোর্শেদ আলী। ৩৭ নম্বর মুনিরনগর ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত আবদুল মান্নান (ঠেলাগাড়ি)। ৩৮ নম্বর দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের দলীয় সমর্থিত গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী (ঠেলাগাড়ি)। ৩৯ নম্বর দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডে র্নিবাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত জিয়াউল হক সুমন (লাটিম)। ৪০ নম্বর উত্তর পতেঙ্গা ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত আবদুল বারেক (ঠেলাগাড়ি)। ৪১ নম্বর দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের দলীয় কাউন্সিলর ছালেহ আহম্মেদ চৌধুরী (ঘুড়ি)।
এছাড়া, সংরক্ষিত ১ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী ফেরদৌস বেগম মুন্নী (আনারস)। সংরক্ষিত ২ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের জোবাইরা নার্গিস খান (মোবাইল ফোন)। সংরক্ষিত ৩ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের জেসমিন পারভীন জেসী (চশমা)। সংরক্ষিত ৪ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের তছলিমা বেগম নুরজাহান (বই)। সংরক্ষিত ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের আঞ্জুমান আরা বেগম (বই)। সংরক্ষিত ৬ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের শাহীন আকতার রোজী (আনারস)। সংরক্ষিত ৭ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের রুমকি সেনগুপ্ত (হেলিকপ্টার)।
সংরক্ষিত ৮ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের নীলু নাগ (মোবাইল ফোন)। সংরক্ষিত ৯ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের জাহেদা বেগম পপি (স্টিল আলমারি)। সংরক্ষিত ১০ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রাধা রাণী দেবী (বই)। সংরক্ষিত ১১ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের ফেরদৌসি আকবর (বই)। সংরক্ষিত ১২ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের আফরোজা জহুর (গ্লাস)। সংরক্ষিত ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের লুৎফুন্নেছা দোভাষ বেবী (গ্লাস)। সংরক্ষিত ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের শাহানুর বেগম (গ্লাস)।

নির্বাচিতরা চট্টগ্রামের উন্নয়নে সামর্থে্যর সবটুকু দিয়ে কাজ করবেন এমনটাই প্রত্যাশা নগরবাসীর।