পালিয়ে বিয়ে করতে চট্টগ্রামে আসা ছয় শিক্ষার্থী পরিবারের জিম্মায়

চট্টলা ডেস্ক : বাসা থেকে পালিয়ে বিয়ে করতে চট্টগ্রামে এসে পুলিশ হেফাজতে যাওয়া ছয় স্কুল শিক্ষার্থীকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। শনিবার (১৩ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে সমাজ সেবা অফিসার, ঢাকার দামরাইয়ের জনপ্রতিনিধির উপস্থিতিতে ওই ছয় শিক্ষার্থীকে তুলে দেয় কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
কোতোয়ালী থানার ওসি নেজাম উদ্দীন বলেন, ‘ঘর পালিয়ে বিয়ে করতে চট্টগ্রামে আসা ছয় শিক্ষার্থীকে শনিবার দুপুরে তাদের পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।’
এরআগে ওই ছয় কিশোর কিশোরী বিয়ে করতে রেলে করে ঢাকার ধামরাই থেকে চট্টগ্রামে আসে শুক্রবার সন্ধ্যায়। সন্দেহজনক গতিবিধির কারণে রেল স্টেশনে কোতোয়ালী থানার এএসআই জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বধীন এএসআই রুবেল বড়ুয়া ও কনেস্টেবল হোসাইনের টিমের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে তারা। পরে তারা পুলিশের কাছে স্বীকার করে বলেছে, ঢাকা থেকে তিন প্রেমিকজুটি বিয়ে করতেই পালিয়ে চট্টগ্রামে এসেছে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের থানা হেফাজতে নেয় পুলিশ। এখন তাদের পরিবারকে খবর দেয়া হয়েছে তাদের জিম্মায় ওই তিন অপ্রাপ্ত বয়স্ক প্রেমিক জুটিকে তুলে দিতে।

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ওই কিশোর-কিশোরীরা জানিয়েছে, তারা বিয়ে করার জন্য বৃহস্পতিবার দুপুরে পরিকল্পনামতে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর কমলাপুর স্টেশনে এসে চট্টগ্রামগামী ট্রেনের টিকিট কেটে তূর্ণা-নিশিথায় করে রাতে চট্টগ্রামের পথে রওনা দেয়। সকালে চট্টগ্রাম স্টেশনে পৌঁছলেও এখানকার পথঘাট চেনা-জানা না থাকায় স্টেশন এলাকাতেই দিন পার করে। পরে সন্ধ্যায় পুলিশের হাতে আটক হয় তারা।

স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে ঢাকার ধামরাইয়ের কাজিয়াকুণ্ড এলাকা থেকে নিখোঁজ হয় এই ছয় কিশোর-কিশোরী। একই এলাকায় একই স্কুলের তিনজন কিশোর ও তিন কিশোরী একই সমেয় নিখোঁজের ঘটনায় পুরো এলাকাজুড়ে তোলাপাড় চলছে। এরমধ্যে কোতোয়ালী থানা পুলিশ তাদের আটক করার খবর পেয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।