পুলিশকে কোপানো কবির গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আশ্রয়দাতা কফিলসহ অবৈধ অস্ত্র,গুলিসহ গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক :

চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া থানা এলাকায় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যে জনি খানের কব্জি হারানোর ঘটনায় অভিযুক্ত আসামি কবির আহমেদকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন র‍্যাব-৭।

শুক্রবার (২০ মে) সকালে লোহাগড়ার পাহাড়ি এলাকায় রুদ্ধশ্বাস এই অভিযানের বিষয়ে বহদ্দারহাটস্থ চান্দগাঁও ক্যাম্প কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ব্রিফিং করেন, র‍্যাব ফোর্সেস এর মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। এ সময় তার সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এম এ ইউসুফ। 

সংবাদ সম্মেলনে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এবং জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে র‌্যাব গোয়েন্দা সংস্থা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

১৫ মে ঘটনার পর থেকে সন্ত্রাসীল কবির তার সহযোগী কফিলকে নিয়ে বান্দরবানের দক্ষিণ হাংগর এলাকার একটি দূর্গম পাহাড়ে আত্মগোপন করে। সেখানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি আঁচ করতে পেরে দ্রুত অবস্থান পরিবর্তন করে লোহাগাড়া থানাধীন বড় হাতিয়ার গহীন পাহাড়ি এলাকায় অবস্থান নেয়। সেই গহীন পাহাড়ি এলাকা অভিযান পরিচালনা করে মোঃ কবির আহমদ (৪৩), পিতা-মৃত আলী হোসেন এবং তার সহযোগী মোঃ কফিল উদ্দিন (৩০), পিতা-মৃত মোস্তাক আহাম্মদ গ্রেপ্তার করা হয়।

খন্দকার আল মঈন আরো জানান, অভিযান চলাকালে গ্রেপ্তারকৃত কবির তার নিকট থাকা অস্ত্র দিয়ে র‌্যাব সদস্যদেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে সিপাহী আকরাম নামে একজন র‌্যাব সদস্য আহত হয়। প্রতিউত্তরে র‌্যাব পাল্টা গুলি চালালে কবিরকে গুলিবিদ্ধ হয় এবং আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে ১টি দা, ১টি ওয়ান শুটার গান, ৩ রাউন্ড গুলির খোসা, ৩ রাউন্ড তাজা গুলি, ২ টি হাসুয়া, ১ টি ছুরি, ১৮০ পিস ইয়াবা, ২ টি মোবাইল ও ২ টি সীম কার্ড  উদ্ধার করা হয় বলে র‌্যাবের এ মুখপাত্র জানান।

তিনি আরও বলেন, কবির স্থানীয় এলাকার একজন চিহ্নিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী। সে দীর্ঘদিন যাবৎ জমি দখল, মারামারিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে এবং কেউ তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপে বাধা দিলে তার উপর সশস্ত্র হামলা চালিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করতো এই সন্ত্রাসী কবির। তার নামে বিভিন্ন থানায় হত্যাচেষ্টা ও মারামারির মামলাসহ ৬টি মামলা রয়েছে। সহযোগী কফিলও এলাকায় একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার নামেও বিভিন্ন থানায় মাদক, হত্যাচেষ্টা ও মারামারি সংক্রান্ত ৬টি মামলা রয়েছে।

আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র, দেশীয় অস্ত্র, সরকারি কর্মকর্তাকে হত্যা চেষ্টা ও মাদক আইনে আরো তিনটি মামলা দায়ের করা হবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাত দশটায় তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-৭ , চট্টগ্রাম এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার।