প্রধানমন্ত্রীর ভিশনকে প্রান্তিকে পৌছে দিতে একসাথে কাজ করতে হবে-জেলা প্রশাসক

নিজস্ব প্রতিবেদক:

শিক্ষক, প্রকৌশলী , স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এনজিও প্রতিনিধিদের নিয়ে স্মার্ট ডিস্ট্রিক্ট বাস্তবায়নে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ৪র্থ কর্মশালা করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সকালে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে “চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট ডিসট্রিক্ট ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ-২০২৩” আওতায় চট্টগ্রামকে স্মার্ট জেলা হিসাবে বিনির্মাণের লক্ষ্যে

“স্মার্ট সিটি ও স্মার্ট ভিলেজ বাস্তবায়ন” সংক্রান্ত এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

কর্মশালায় জেলা প্রশাসন এর কর্মকর্তাবৃন্দসহ উপস্থিত ছিলেন রেজাউল করিম, সহযোগী অধ্যাপক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, সুবীর হালদার, সহযোগী অধ্যাপক, চট্টগ্রাম কলেজ; কিরীটী দত্ত, সহকারী অধ্যাপক (রসায়ন), সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ, নিরুপম মল্লিক, সহকারী অধ্যাপক, চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ; থোয়াইনু মং মার্মা, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা, মোহাম্মদ শাহেদ আলী টিটু, ডেপুটি সেক্রেটারী, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ; শৈবাল দাশ সুমন, কাউন্সিলর, ২১নং জামালখান ওয়ার্ড, আবুল হাসনাত মোঃ বেলাল, কাউন্সিলর, ১৪নং লালখান বাজার ওয়ার্ড, মুহাম্মদ ফরিদুল আলম হোসাইনী, জেলা শিক্ষা অফিসার; মোঃ কফিল উদ্দিন, মোঃ রেজাউল বারী ভূইয়া, নির্বাহী প্রকৌশলী, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন; আজিজুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী, চট্টগ্রাম ওয়াসা;  মোঃ মোস্তফা জামাল, সিস্টেম এনালিস্ট, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ; সুকুমার দাশ, শাহেদা আক্তার, প্রধান শিক্ষক, ডা. খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মোহাম্মদ আলী সিকদার, জেলা এনজিও সমন্বয়ক ও নির্বাহী পরিচালক; উৎপল বড়ুয়া, প্রধান নির্বাহী, ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরাম; সাইফুল ইসলাম, সফ্টওয়্যার ডেভেলপার, মিডডে ড্রীমস্; আবরারুল ইসলাম, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ।

কর্মশালায় গ্রুপের আলোচনা শেষে প্রেজেন্টেশন পর্বে রেজাউল করিম স্মার্ট কৃষির প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন সেন্সরের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার তাপমাত্রা, আদ্রতা, রোদ-বৃষ্টি এইসব তথ্য কালেক্ট করা সম্ভব হলে সেই এলাকার কৃষিখাত উন্নত করা সম্ভব।

এনজিও প্রতিনিধি নাসির উদ্দীন “সেন্সর বেজড গারবেজ সিস্টেম” এর বিষয়ে তাঁর পরিকল্পনা তুলে ধরেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি শৈবাল দাশ সুমন তাঁর গ্রুপ প্রেজেন্টেশন পর্বে জামালখান ওয়ার্ডের যানজট নিরসনে যদি কেউ ভালো আইডিয়া দিয়ে সহায়তা করে তাকে ৫ লক্ষ উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

এছাড়া আলোচনায় ব্লাড এভেইলেবিলিটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, নগরের ফুটবল মাঠ সজ্জিতকরণ, স্মার্ট ক্যাবল ম্যানেজমেন্ট, স্মার্ট এনআইডির আওতায় সকল ফ্যাসিলিটিসহ ইত্যাদি বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়।

পরিশেষে বদিউল আলম,  উপপরিচালক, স্থানীয় সরকার, কর্মশালায় অংশগ্রহনকারী সকলকে স্মার্ট ডিস্ট্রিক্ট ইনোভেশন বিষয়ে যার যার পরিকল্পনা পূর্নাঙ্গ আকারে আগামী ৩০ মার্চের মধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে কর্মশালার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।