ফটিকছড়িতে একসঙ্গে ৬ সন্তান প্রসব, ১ ঘণ্টা পরেই সবার মৃত্যু

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি:

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে নরমাল ডেলিভারিতে এক নারী ছয় সন্তানের জম্ম দিয়েছেন। তবে বাচ্চাগুলো জন্মের ১ ঘণ্টা পর মৃত্যুবরণ করে। এরমধ্যে চারজন ছেলে ও ২ জন মেয়ে।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টায় নবজাতকগুলোর জন্ম হয়। সন্ধ্যা ৬টা দিকে মারা যায় ছয় নবজাতক।

নাজিরহাট পৌরসভার দৌলতপুরের দুবাই প্রবাসী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের স্ত্রী তসলিমা আক্তার এ ছয়টি নবজাতকের জন্ম দেন।

জানা গেছে, ফটিকছড়ির নাজিরহাটের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে এক মায়ের অপরিপূর্ণ ছয়টি নবজাতক সন্তানের জন্ম দেন। এর মধ্যে ৪ জন ছেলে ও ২ জন মেয়ে। জন্মের ১ ঘন্টা পর ৬ নবজাতকই মারা গেছে। তাদের ওজন খুবই কম এবং মাত্র ৫ মাসে ডেলিভারি হওয়ায় বাচ্চাগুলোকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

ফটিকছড়ির নাজিরহাট সেবা ক্লিনিক অ্যান্ড নার্সিং হোমের ডাক্তার উম্মে ফাতেমা তুজ জোহরার তত্ত্বাবধানে নরমাল ডেলিভারি করানো সম্ভব হলেও নবজাতকদের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল জানান এই চিকিৎসক।

তিনি বলেন, ‘বাচ্চাগুলোর ওজন কম এবং সঠিক সময়ের আগেই জন্ম হয়েছে। এদের বাঁচানো খুবই দুরূহ। গর্ভধারণের সাড়ে পাঁচ মাসের দিকে জরায়ুর সমস্যা নিয়ে তাসলিমা হাসপাতলে আসেন। আল্ট্রা করে দেখলাম একেক সন্তানের পজিশন একেক রকম। এক্ষেত্রে আমার হাতে দুটি অপশন ছিল। ১। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা অথবা ২। দ্রুত মাকে বাঁচাতে নরমাল ডেলিভারির ঝুঁকি নেওয়া। যেহেতু রোগী আমার ওপর আস্থা রেখে অনুরোধ করেছেন তাই আমি নরমাল ডেলিভারির সিদ্ধান্ত নিয়ে স্যালাইন পুশ করি। একে একে চারটি ছেলে ও দুইটি মেয়ে প্রসব হয়। অপরিণত হওয়ায় তারা জীবিত ছিল এক ঘণ্টার মতো। আল্লাহর রহমত মা সুস্থ আছেন।

এদিকে, ওই ক্লিনিকের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘বাচ্চাগুলো জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যেই মারা গেছে। কারণ কম সময়ে দুনিয়াতে এসেছে বাচ্চাগুলো। এছাড়া এক একটি বাচ্চার ওজম মাত্র ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম। এই ধরনের জন্ম নেওয়া নবজাতককে বাঁচানো যায় না।’