বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত পটিয়া আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়কে জাতীকরণের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

চট্টগ্রাম প্রতিবেদক :

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ১৭৮ বছরের ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীন পটিয়া আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় জাতীকরণের দাবী জানিয়েছেন বিদ্যালয় কতৃপক্ষ ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী পরিষদের পক্ষে চবি আইন পরিষদের প্রাক্তন ডীন প্রফেসার এ বি এম আবু নোমান।

৪ঠা এপ্রিল রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লবের এস রহমান হলে সংবাদ সম্মেলনে এই দাবী জানানো হয় । লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, ১৭৮ বছরের ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীন পটিয়া আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় অতীতের বিভিন্ন সময়ে অবহেলা, অবজ্ঞা ও বিমাতাসুলভ আচরণের শিকার হয়। স্বাধীনতা উত্তর বিগত চল্লিশ বছরে প্রশাসনের তরফ থেকে কয়েকবার সরকারিকরণের উদ্যোগ নেয়া হলেও অজ্ঞাত কারণে তা আর বাস্তবায়ন করা হয়নি। অথচ আশ্চর্যের বিষয় একই এলাকায় ১৯৫৩ সালে তুলনামূলভাবে নবীন একটি অখ্যাত বালিকা স্কুলকে ১৯৮১ সালের দিকে তাড়াহুড়ো করে সরকারি করা হয়। এভাবে সরকারি হওয়ার গৌরবটা ছিনিয়ে নেওয়ার পরও প্রায় চার দশক অতিক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু এ সময়টাতেও এই স্কুল তার মর্যাদা ফিরে পায়নি। ১৯৬২ সালে পার্শ্ববর্তী পটিয়া সরকারি কলেজ প্রতিষ্ঠায় এ স্কুলের তদানীন্তন ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ ও প্রধান শিক্ষক আগ্রণী ভূমিকা পালন করেন ।

তাঁরা স্কুলের সাড়ে এগার একর জায়গা থেকে আড়াই একর জায়গা কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য দান করেন । ১৯৭৮ সালেই উক্ত কলেজটি সরকারি করা হয় । কিন্তু শিক্ষা বিস্তারে ঐতিহাসিক ও অনন্য ভূমিকা রাখা সত্ত্বেও এ প্রাচীন স্কুলটি বরাবর থেকে গেল উপেক্ষিত ও অবহেলিত।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম তথা সমগ্র বাংলাদেশের একটি বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত বিদ্যাপীঠ। ১৮৪৫ সালে স্থাপিত এ সুপ্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি সমগ্র দক্ষিণ চট্টগ্রামের মধ্যে প্রথম প্রতিষ্ঠিত বিদ্যানিকেতন । এদেশের শিক্ষাজগতে এটি একটি অনির্বাণ দীপশিখা। নিরন্তর শিক্ষার আলোক বিতরণে এবং আলোকিত সামাজিক বাতাবরণ তৈরিতে এর অনন্য ও ঐতিহাসিক ভূমিকা রয়েছে।

বর্তমানের উল্লেখযোগ্য কৃতি শিক্ষার্থীরা যারা দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে আলো ছড়িয়েছেন তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন রাজনীতিবিদ আকতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু , চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর আবু জাফর চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ডঃ অপরূপ চৌধুরী, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে সাবেক মহাপরিচালক মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইউচুপ, বাংলাদেশ স্থল বন্দরের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলমগীর, হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি জেবিএম হাসান, খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়রা জজ মোঃ শাহীন উদ্দীন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডীন প্রফেসর এ বি এম আবু নোমান, টিভি ব্যক্তিত্ব হানিফ সংকেত প্রমুখ ।

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ডা. সৈয়দ সাইফুল ইসলাম, স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান, বর্তমান প্রধান শিক্ষক সুনীল কুমার বড়ুয়া, প্রাক্তন ছাত্র আবুল কাশেম, পটিয়া পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আলমগীর আলম, স্কুল পরিচালনা সদস্য আহমদ কবির, আরফ আলী, নজরুল ইসলাম বিপ্লব, শিক্ষক প্রতিনিধি চন্দন কান্তি নাথ, দেবাশীষ দাশ, নজরুল ইসলাম, অলক দাশ, ভগীরথ দাশ ও বিশ্বজিৎ দাশ প্রমুখ।