বাঙালি জাতির মুক্তির ফলকের আরেক নাম ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :

মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম – বৃহত্তর চট্টগ্রামের উদ‍্যোগে ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান এক তাৎপর্যপূর্ণ মাইলফলক।

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) নগরের সংগঠন কার্যালয়ে সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার।

প্রচার সম্পাদক ইমরান হোসেন মুন্নার সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন আবদুল মালেক খান, অ্যাডভোকেট সাইফুন নাহার খুশী, ডা.ফজলুল হক সিদ্দিকী, মো. কামাল উদ্দিন, রাজীব চন্দ, ইঞ্জিনিয়ার ইয়াকুব মুন্না, মোরশেদ আহমেদ, নবী হোসেন সালাউদ্দিন, কোহিনুর আকতার, সোহেল ইকবাল, এসএম রাফি, মিশু সেন, ইকবাল করিম, আবদুর রহিম প্রমুখ।

সভায় ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি ‘চট্টগ্রাম গণহত্যা’ দিবসের শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

বক্তারা আরো বলেন, বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন, বাঙালির মুক্তিসনদ ৬ দফা, পরবর্তী সময়ে ১১ দফা, ঊনসত্তরের গণ অভ্যুত্থান ও সত্তরের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারাবাহিকতায় একাত্তরে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে রক্তাক্ত সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালির স্বাধীনতা এসেছে।

স্বাধীনতা আন্দোলন দমাতে পাকিস্তানিরা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে শেখ মুজিবসহ অন‍্যদের গ্রেফতার করে। এর প্রতিবাদে দেশব‍্যাপী ছাত্র-শ্রমিক-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনে ঊনসত্তরের ২৪ জানুয়ারি গণঅভ্যুত্থানের সৃষ্টি হয়।

তারই ধারাবাহিকতায় অনিবার্য হয়ে ওঠে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ।