নিজস্ব প্রতিবেদক:
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রয়াত আমির জুনায়েদ বাবুনগরীর দাফন নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়, তবে রাত সাড়ে ১১টার পর জানাজা শেষে তড়িগড়ি করে ১২টা ৫০ মিনিটে তাকে মাদ্রাসার কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এর আগে সকালে ফটিকছড়ির গ্রামের বাড়িতে দাফনের কথা বলে বিকেলে বলা হয় হাটহাজারী মাদ্রাসাতেই দাফন করা হবে।
এই যখন প্রচার হয় তখন রাত ১০ টার পর হেফাজতের ভারপ্রাপ্ত আমির মহিবুল্লাহ বাবুনগরী ঘোষণা দেন হাটহাজারীতে জানাজা হলেও ফটিকছড়ির বাড়িতেই দাফন করা হবে।
শেষ পর্যন্ত হাটহাজারী মাদ্রাসায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে জুনায়েদ বাবুনগরীর।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মীর ইদ্রীস।
হেফাজতের নতুন ভারপ্রাপ্ত আমির জুনায়েদ বাবুনগরীর মামা মহিবুল্লাহ বাবুনগরী। যিনি জুনায়েদ বাবুনগরীর জানাজার নামাজে ইমামতি করেন। এতে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক ভক্ত অনুসারী অংশ নেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে, বিকেলে মহিবুল্লাহ বাবুনগরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাকে জুনায়েদ বাবুনগরী তিন তিনবার অসিয়ত করে গেছেন। তাকে যেন মা-বাবার কবরের পাশে শায়িত করা হয় এবং এটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। কোন সরকারি খাস জমিতে তাকে দাফন করতে দেওয়া হবে না।’
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিএসসিআর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা হয়।
সিএসসিআর হাসপাতালের সিইও ডা. সালাউদ্দীন মাহমুদ নিশ্চিত করে বলেছেন, গুরুতর অসুস্থ হেফাজত আমিরকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকরা দেখে নিশ্চিত হন তিনি মারা গেছেন।
৬৭ বছর বয়সি দেশের অন্যতম শীর্ষ আলেমে দ্বীন দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, কিডনি ও ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।