স্মার্ট জেলা রুপান্তরে চসিকের সাথে সমন্বিতভাবে কাজ করবো : জেলা প্রশাসক

নিজস্ব প্রতিবেদক:

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে চট্টগ্রামকে স্মার্ট জেলা রুপান্তরে সিটি কর্পোরেশনকে সর্বাত্মক সহোযোগিতা করছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।

আজ ১৩ মার্চ (সোমবার) সন্ধায় নগরীর রেডিসন ব্লু হোটেলের মোহনা হলে আয়োজিত পাঁচ শ্রেণিতে বিশেষ অবদান রাখায় চট্টগ্রামের পাঁচ কৃতি সন্তানকে ‘মেয়র পদক’ প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, চট্টগ্রামের অনেকগুলো সমস্যার সমাধানে সিটি কর্পোরেশন আর জেলা প্রশাসন একসাথে কাজ করছে৷পাহাড় কাটা বন্ধে, মশা নিধনে, খাল উদ্ধার,আবর্জনামুক্ত ড্রেনেজ সিস্টেম ও ট্রাফিক সিগনালিং এর উন্নয়নসহ বেশ কিছু সমস্যার সমাধানে আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করছি।

তিনি আরও বলেন,বিশেষ করে পরিবেশ ও প্রতিবেশ অক্ষুণ্ণ রাখতে পাহাড় কাটা রোধ ও খাল উদ্ধারে মেয়র মহোদয় যেন কাউন্সিলরদের নির্দেশনা দেন। সরকারী খাস জমি উদ্ধারপূর্বক মালিকানা ঠিক রেখে সিটি করপোরেশন এর সাথে সমন্বয়ে দৃষ্টিনন্দন পার্ক ও বিভিন্ন খেলার মাঠ করে ব্যবহারযোগ্য করে চট্টগ্রামবাসীর উন্নয়ন ও কল্যাণে একযোগে কাজ করতে চাই। স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম জেলাকে প্রথম স্মার্ট জেলা হিসেবে বাস্তবায়ন করতে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা কর্মচারী ও কাউন্সিলরদের আলাদা ওয়ার্কশপ করে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও নিজস্ব কর্মপরিধির ব্যাপ্তি করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহোযোগিতার আহবান জানান জেলা প্রশাসক ।

উক্ত অনুষ্ঠানে পাঁচ মেয়র পদক বিজয়ীরা হলেন যুব আদর্শে ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া, নগর নেতৃত্বে কাউন্সিলর মো. মোবারক আলী, নগর স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে মুহাম্মদ আবু বক্কর ছিদ্দিক হারুন, নারী নেতৃত্বে ডা. বাসনা রানী মুহুরী, বিশেষ ক্যাটাগরিতে গাউসিয়া কমিটি। গাউসিয়া কমিটির পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন গাউসিয়া কমিটি, বাংলাদেশের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক এবং যুগ্ম মহাসচিবএডভোকেট মোসাহেব উদ্দিন বখতিয়ার। ‘মেয়র পদক’ অনুষ্ঠানে সহযোগিতায় ছিল বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইপসা ও সেভ দ্য চিলড্রেন৷